জামালপুরে পুলিশের এসআইসহ আরো পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে নতুন করে পুলিশের একজন এসআইসহ আরো পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজেটিভ আসে।

নতুন আক্রান্ত বাকি চারজনের মধ্যে বকশীগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরফেরত দুই ব্যক্তি এবং সরিষাবাড়ী উপজেলায় নমুনা দেওয়া পাশের সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের পিতা-পুত্র রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন মোট ৩৮ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের করোনা পিসিআর ল্যাব থেকে ২৪ এপ্রিল সকালে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় আসা প্রতিবেদনে জামালপুরের পাঁচজনের নমুনায় করোনা পজেটিভ আসে। তাদের মধ্যে একজন হলেন জামালপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ৩২ বছর বয়সের একজন উপপরিদর্শক (এসআই)। জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর গ্রামের আক্রান্ত দুই ব্যক্তির মধ্যে ৪৮ বছর বয়সের ব্যক্তিটি নারায়ণগঞ্জফেরত এবং ২৭ বয়স বয়সের অপর জন গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে সম্প্রতি বাড়িতে আসেন।

এছাড়া সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষায় যে দুই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সের বৃদ্ধ ও ৩৫ বছর বয়সী তার ছেলে রয়েছেন। তাদের বাড়ি সরিষাবাড়ী উপজেলা লাগোয়া সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার মুনসুরনগর ইউনিয়নের মাজনাবাড়ি এলাকায়।

সংশ্লিষ্ট তিন উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মুহা. মাহফুজুর রহমান সোহান এ প্রতিবেদককে জানান, তার আওতাধীন সদরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত পুলিশের এসআইকে জেলা পুলিশের অফিসার্স মেস ভবনের একটি কক্ষে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সেখানে পৃথক কক্ষে এর আগে করোনায় আক্রান্ত জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি আরো জানান, পুলিশ সুপারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ জেলায় কর্মরত পুলিশের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে এবং উপসর্গ প্রকট না হলে তাদেরকে অফিসার্স মেস ভবনেই আইসোলেশনে রাখা হবে।

বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের দুই ব্যক্তিকে জামালপুর সদর হাসপাতালের স্বতন্ত্র করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি এবং তাদের বাড়িসহ আশপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক প্রতাপ কুমার নন্দী।

অপরদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ এ প্রতিবেদককে জানান, সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নমুনা দেওয়া দুই ব্যক্তি সম্পর্কে পিতা-পুত্র। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুরে হওয়ায় সেখানকার প্রশাসনের আওতায় আইসোলেশনে যাবে। এই দুই ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার বিষয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও কাজীপুরের ইউএনওকে ফোনে জানানো হয়েছে।