ইসলামপুরে অধ্যক্ষ ছালামের কুশপুত্তলিকা দাহ, বিক্ষোভ মিছিল

অধ্যক্ষ আব্দুছ ছালাম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের কেবিনের একটি কামরায় নিজ কলেজের প্রাক্তন এক ছাত্রীকে নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় জে জে কে এম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুছ ছালাম চৌধুরীর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি পেশ ও অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে।

২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ট্রেনে সংঘটিত ওই ঘটনার প্রতিবাদে ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকের সামনে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও ছাত্র-জনতা এ কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য আফরোজা আজাদ তানিয়া, জাহানারা পারভিন পুঁথি, যুবমহিলালীগের সভাপতি আবিদা সুলতানা যুঁথি, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোজাহারুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা রাহাত পাহলোয়ান, ফারুক ইকবাল হিরো, জিয়াউল হক জুয়েল প্রমুখ।

অধ্যক্ষ আব্দুছ ছালাম চৌধুরীর অপসারণের দাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মানববন্ধন চলাকালে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা অধ্যক্ষ আব্দুছ ছালামের দুটি কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসী পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি স্থানীয় প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

পরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ওই অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে গভর্নিং বডি সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এ সময় বক্তারা ওই অধ্যক্ষকে ইসলামপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ ট্রেনের কেবিনের একটি কামরায় ওই ঘটনার মূলহোতা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা না করায় ওই ছাত্রীর পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়।