এক বছর পর যমুনায় ইউরিয়া উৎপাদন শুরু

যমুনা সার কারখানা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ীে উপজেলা অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) উৎপাদন চালু হয়েছে। টানা এক বছর ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর ১১ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।

জেএফসিএল সূত্র জানায়, গত বছর ২৭ নভেম্বর ভোর পৌনে ছয়টার দিকে কারখানার অ্যামোনিয়া শাখার স্টার্টার হিটার যন্ত্র বিস্ফোরিত হয়। এ অগ্নিকান্ডে মুহূর্তেই অ্যামোনিয়া গ্যাস প্রক্রিয়াজাত করণের প্রধান যন্ত্র পি-হিটার, সমস্ত ক্যাবল ও আশেপাশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খান জাভেদ আনোয়ার জানান, যমুনা সার কারখানার বিস্ফোরিত যন্ত্রাংশ মেরামত করতে জাপানের উচ্চতর প্রকৌশলীরা কাজ করেন। তারপর নিজস্ব জনবল দিয়ে টানা চারমাস উৎপাদন চালুর কাজ চলে। ২২ নভেম্বর প্রাইমারি রিফর্মারে আগুন প্রজ্বলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর ৭ ডিসেম্বর অ্যামোনিয়া উৎপাদন চালু ও ১১ ডিসেম্বর সকালে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হয়।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে। বিসিআইসি নিয়ন্ত্রিত কেপিআই-১ মানসম্পন্ন এ প্রতিষ্ঠানে শুরুতে দৈনিক এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন হলেও বর্তমানে গ্যাস স্বল্পতায় তা কমে এসেছে। স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য ৩২০ পিএসআই চাপ গ্যাসের প্রয়োজন থাকলেও সর্বশেষ তথ্যমতে মাত্র ১৮০ পিএসআই সরবরাহ রয়েছে। এতে উৎপাদন চালু হলেও গ্যাস স্বল্পতায় আবারো শঙ্কা বিরাজ করছে। গ্যাস এজেন্সি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানিকে করাখানায় প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের দাবি সংশ্লিষ্টদের।