পাথালিয়ায় ফায়ারিং প্রশিক্ষণের গুলিতে বৃদ্ধ কৃষক গুরুতর আহত

ঘরের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত কৃষক আব্দুর রহিমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর শহরের পাথালিয়া গুয়াবাড়িয়া এলাকায় ঘরের ভেতরে শুয়ে থাকা আব্দুর রহিম (৬৫) নামের একজন বৃদ্ধ কৃষক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুর রহিম দাবি করেছেন, নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্প থেকে আসা গুলিটি তার ঘরের টিনের বেড়া ভেদ করে বাম পায়ের ওপাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

জানা গেছে, জামালপুর শহরের পাথালিয়া উত্তর গুয়াবাড়িয়া এলাকার মৃত শাহ মাহমুদের ছেলে বৃদ্ধ কৃষক আব্দুর রহিম ৫ ডিসেম্বর দুপুরে নামাজ শেষে তার ঘরে বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিকেল তিনটার দিকে আকস্মিক একটি গুলি তার ঘরের টিনের বেড়া ভেদ করে বাম পায়ের হাটুর নিচে বিদ্ধ হয়ে ওপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। এতে তার পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রচণ্ড ব্যথায় তিনি চিৎকার দিলে পরিবারের স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে দ্রুত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুলিটিও সদর থানায় জমা দিয়েছেন তার স্বজনরা।

জানা গেছে, জামালপুরস্থ ৩৫ ব্যাটালিয়ান বিজিবির ক্যাম্পের ফায়ারিং রেঞ্জে ৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে জেলা পুলিশের ফায়ারিং প্রশিক্ষণ চলছিল। তবে পুলিশের ফায়ারিং থেকেই গুলিটি ছুটে গিয়ে ওই ব্যক্তির পায়ে লেগেছে কি না- এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহিম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘গুলিটা বিজিবি ক্যাম্পের দিক থেকেই আসছে। দেখেন আমার পায়ের কি অবস্থা হইছে। কয়দিন আগেও এক শিশুর মাথায় গুলি লাগছিল। সে বাঁইচা গেছে।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গাজী মো. রফিকুল হক বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, আহত আব্দুর রহিমের পায়ে গুলি নেই। গুলিটি বেরিয়ে গেছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাছির উদ্দিন গুলিবিদ্ধ আব্দুর রহিমের খোঁজখবর নিতে বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আজকে বিজিবি ক্যাম্পে ফায়ারিং রেঞ্জে পুলিশের ফায়ারিং প্রশিক্ষণ ছিল। তবে সেখান থেকেই গুলিটি ছুটে গিয়ে আব্দুর রহিমের পায়ে লেগেছে কি না তা তদন্ত ছাড়া এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না। আহত ব্যক্তির স্বজনরা ওই গুলিটি থানায় জমা দিয়ে গেছেন।’