শ্রীপুরে ভুয়া চিকিৎসকের এক লাখ টাকা জরিমানা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদরের শ্রীপুর ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান চান নামের একজন ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৩ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাহী হাকিম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াছমিন তাকে জরিমানা করেন। একইদিন সদরের নান্দিনা বাজারে একজন বেকারি মালিককে সাতদিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানা গেছে, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ ডিসেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ভালুকা বাজারের হাবিবুর রহমান চানের মুসলিম ফার্মেসি নামের ওষুধের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নামের শেষে ফার্মাসিস্ট পদবি ব্যবহার করলেও হাবিবুর রহমান চান নিজেকে একজন চিকিৎসক পরিচয়ে তার দোকানে বসেই নিয়মিত রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন লিখে ফি আদায় করে আসছিলেন। এ সময় তাকে আটক করা হলে তার চিকিৎসক পরিচয়ের স্বপক্ষে বৈধ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। ভুয়া চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখে ফি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি ভালুকা গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে।

পরে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর উপজেলার নান্দিনা বাজারে আজিজ বেকারিতে অভিযান পরিচালনা করেন। অন্য একটি সরকার অনুমোদিত ও বিএসটিআইয়ের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বেকারি পণ্য আজিজ বেকারির মোড়কে ভরে বাজারজাত করার হাতে নাতে প্রমাণ মিলে সেখানে। এছাড়াও ওই বেকারিতে নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের বেকারি পণ্য তৈরি এবং পলিথিনের মোড়ক ব্যবহার করা হচ্ছিল। এসব অভিযোগে নির্বাহী হাকিম ফরিদা ইয়াছমিন তাৎক্ষণিক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আজিজ বেকারির মালিক আজিজুল হককে (৬০) সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। তিনি স্থানীয় মো. জামাতুল্লার ছেলে। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াছমিন এ অভিযান প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘পণ্যের সঠিক মান নিশ্চিত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’