সর্পদংশনের রোগীদের দ্রুত সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হবে

আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবসে স্বাস্থ্য বিভাগের আলোচনা সভা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

সর্পদংশন বা সাপেকাটা রোগীদের মৃত্যুরোধে গ্রাম্য ওঝা ও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা না করে দ্রুত তাকে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে হবে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই সর্পদংশনের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এ পরামর্শ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর দিবসটি উপলক্ষে জামালপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার নজরুল ইসলাম সভাকক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সর্পদংশন প্রতিরোধ ও করণীয় বিষয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক উত্তম কুমার সরকার। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মাহফুজুর রহমান, টিবি ক্লিনিকের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক স্বাগত সাহা, সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোস্তাফিজ মান্নান, সিভিল সার্জান কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান, কালের কণ্ঠের জামালপুর প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সর্পদংশন থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির আশপাশের ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার রাখা, গভীর জলাশয় ভরাট করা, রাতের অন্ধকারে আলোর উৎসসহ যাতায়াত করা, ইঁদুরের গর্তে হাত না ঢোকানো, অন্ধকার জায়গায় রাখা কোনো পাত্রে হাত না দেওয়া, শোয়ার ঘরের সাথে ধানচাল, হাসমুরগি ও কবুতর না রাখা, রাতে মেঝেতে না ঘুমানো এবং খাটে মশারি খাটিয়ে ঘুমানোসহ নিজ উদ্যোগে সতর্কতার সাথে বসবাস ও চলাফেরা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সর্পদংশনে আক্রান্ত ব্যক্তির আক্রান্ত স্থানে এবং ওপরের দিকে শক্তভাবে না বেঁধে চওড়া মোটা কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বাঁধতে হবে, দংশিত স্থানে ধারালো কিছু দিয়ে না কাটা এবং সুঁই ফোটানো যাবে না। আক্রান্ত ব্যক্তিকে গ্রাম্য ওঝা ও কবিরাজের কাছে না নিয়ে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

আলোচনা সভার আগে দিবসটি উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও কর্মকর্তা, সাংবাদিক, নার্স ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরা শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় অংশ নেন। এছাড়াও দিবসটি ্উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং এবং প্রচারপত্র বিলি করা হয়।