জামালপুরে নারী শিশু সহিংসতা প্রতিরোধে উপজেলা নেটওয়ার্কের ত্রৈমাসিক সভা

ত্রৈমাসিক সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ওয়াজেদ আলী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধকল্পে গঠিত জামালপুর সদর উপজেলা নেটওয়ার্কের ত্রৈমাসিক সভা ১৮ সেপ্টেম্বর জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির জামালপুর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলারচিঠি ডটকম এর সম্পাদক ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর সদর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ওয়াজেদ আলী, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী সাবিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক শাকিল আহম্মেদ শিহাব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির নারী ও কন্যা শিশুর অধিকার সুরক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা খালেদা আক্তার।

আলোচকরা বলেন, জামালপুরে চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। গ্রামে, মহল্লাভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটির গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক জাগরণ এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রচলিত আইনের কার্যকারিতার জন্য সামাজিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে।

জানা যায়, নারী ও কন্যা শিশুর অধিকার সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় এলাকায় দল গঠন করে নানামূখী সামাজিক ইস্যুতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এরমধ্যে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, নির্যাতিত নারীদের ভরণপোষণ আদায় করা, দেনমোহরের টাকা আদায় করা, ছোটখাটো পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা, বাল্যবিয়ে বন্ধ করা, নারীদের আয় বৃদ্ধিমূলক কাজে সম্পৃক্তকরণে সহায়তা করা, যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন করা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রদেয় সেবা ও সুবিধাসমূহ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করা, নির্যাতিত নারীদের বিভিন্ন ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পৃক্ত করে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনী তৈরি করতে নানামূখী কার্যক্রম গ্রহণ করা।

পরে উপস্থিত সদস্যরা নেটওয়ার্কের কার্যক্রম গতিশীল করতে যার যার অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম তার সমাপনী বক্তৃতায় কোনোরুপ নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতার ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় থানায়, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য জোর সুপারিশ করেন।