জামালপুরে পাটের বকেয়া টাকার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

বিজেএমসির কাছে বকেয়া ৫০ কোটি টাকা পরিশোদের দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন পাট ব্যবসায়ীরা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ জুট মিলস্ কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) কাছে পাট বিক্রির বকেয়া ৫০ কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন, মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে জামালপুর জেলা পাট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে জামালপুর শহরের তমালতলা মোড়ে জেলা পাট ব্যবসায়ী সমিতি মানববন্ধনের আয়োজন করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা পাট ব্যবসায়ী সমিতিরি সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি, সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি রঞ্জন কুমার সিংহ ও ইকরামুল হক নবিন, পাট ব্যবসায়ী মো. আমজাদ হোসেন ও মো. আনোয়ার উদ্দিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে পাট ব্যবসায়ীরা বলেন, বিজেএমসির কাছে তিন বছর ধরে জামালপুর জেলা পাট ব্যবসায়ী সমিতির আওতাধীন পাট ব্যবসায়ীদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে। শুধু জামালপুরেই নয়, সারাদেশে হাজার হাজার পাট ব্যবসায়ীর প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বিজেএমসির কাছে। এতে করে ছোট-বড় পাট ব্যবসায়ীরা পুঁজি শুন্য হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বর্তমান সরকার সোনালী আঁশ পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমরা সরকারকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সারাদেশে হাজার হাজার পাট ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে এখন পথে পথে ঘুরছে।

বিজেএমসির কাছে বকেয়া ৫০ কোটি টাকা পরিশোদের দাবিতে জামালপুরের পাট ব্যবসায়ীরা শহরে মিছিল বের করে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বক্তারা আরো বলেন, চলতি মৌসুমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাটচাষীরা হতাশ হয়ে পানির দামে পাট বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় পাট চাষীরা পাট উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বক্তারা অবিলম্বে এসব বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে তারা শহরের প্রধান সড়কে মিছিল বের করেন। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা অবিলম্বে পাটের বকেয়া টাকা পরিশোধ করার দাবিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।