
শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততোই জমে উঠতে শুরু করেছে শেরপুরের জেলার বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় সরগরম হয়ে উঠেছে পশুর হাটগুলো। চিত্রটি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার পাঠাকাটা এলাকার কোরবানির পশুর হাটের। বরাবরের মতোই গরু-ছাগলের ও মহিষের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে। হাটে পশুর স্বাস্থ্যগত সেবা প্রদানে কাজ করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ। আর হাটের নিরাপত্তা আর জাল টাকা সনাক্তকরণে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে হাট কর্তৃপক্ষ।
এমনই চিত্রসহ ছোট বড় হাটগুলোর। কোরবানিকে সামনে রেখে নানান জাতের গরু-ছাগল আর ক্রেতা বিক্রেতার হাক-ডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে এসব পশুর হাট। তবে বরাবরের মতোই দাম নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে। ক্রেতারা বলেছেন দাম বেশী আর বিক্রেতারা বলছেন কোরবানির পশুর মূল্য কম।
বিক্রেতাদের দাবি বর্তমানে দেশে যে পরিমান গরু রয়েছে তাতেই কোরবানির চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে ভারতীয় গরু আমদানি করলে দেশি গরুর দাম কমে যাবে। এতে করে লোকসানে পড়বে তারা। ভারতীয় গরু যেন প্রবেশ করতে না পারে সে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
হাট বাজারের ইজারাদার মো. ইয়াসীন মিয়া জানান, বাজারে আমাদের কড়া নজরদারি রয়েছে। পুলিশ ছাড়াও আমাদের নিজস্ব কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া কোরবানির হাটে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কাজ করছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক আবুল খায়ের মো. আনিসুর রহমান।
নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, আমরা পশুর হাটে সব সময় নিরাপত্তা দিয়ে আসছি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। পশু বেচা-কেনা করতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইতোমধ্যে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন বসানোসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 



















