উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে কাজের গতি বাড়ান : ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দেশে চলমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে কাজের গতি বাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য উন্নয়নের গতিটা অব্যাহত রাখাটা জরুরি। আর এটা মাথায় রেখেই আপনাদের (জেলা প্রশাসক) কাজ করে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে পাঁচ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৯ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের যে মেধা ও মনন দিয়ে এই দেশটাকে গড়ে তুলবেন। আর সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে যেন কর্মক্ষেত্রে আপনাদের দক্ষতার পরিচয় রাখতে পারেন সেটাই আমি চাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।’
তাঁর সরকার একটি লক্ষ্য নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের চাকরিতো দীর্ঘকালীন, আর আর আমাদের চাকরি স্বল্প মেয়াদের। পাঁচ বছরের জন্য আমরা নির্বাচিত হয়েছি।’
‘ কাজেই এই পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের দেশটাকে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে চাই এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা যে বাজেট দিয়েছি বা পরিকল্পনা নিয়েছি বা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছি। আর সেই লক্ষ্যটা হলো বাংলাদেশ ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে, যোগ করেন তিনি।
২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর আগেই দেশকে দারিদ্র মুক্ত করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের ২১ ভাগ দারিদ্র মুক্ত হয়েছে এবং আমি মনে করি, আমরা যদি আরেকটু প্রচেষ্টা নেই- আমাদের হাতে এখনও যে সময়টা রয়েছে তাতে ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার ২/৩ ভাগ কমাতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্রের হার ১৮ ভাগ। আমরা তার থেকে অন্তত এক ভাগ বেশি কমাতে চাই। আপনাদের প্রচেষ্টা থাকলে আমরা পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদেরকে একদিন বলেছিল, বাংলাদেশ ‘বটমলেস বাস্কেট’ হবে। তাদের দেখাতে চাই দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি। ২০২৪ সালের মধ্যে এই হারকে আরো কমাবো। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ এই দক্ষিণ এশিয়ায়।
‘কিন্তু এই দেশের মানুষ যেন মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলতে পারে’-সে ব্যবস্থাটাই তাঁর সরকার করতে চায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা উপস্থিত বিভাগীয় কমিশার এবং জেলা প্রশাসকদের কেবল হাতে তালি দিয়ে নয়, তাঁরা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন, সে বিষয়ে তাঁদের ওয়াদা প্রত্যাশা করেন। উপস্থিত জেলা প্রশাসক এবং কমিশনারগণ এসময় হাত তুলে এতে সম্মতি জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন এবং প্রধানমন্ত্রী মূখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসাইন, শেরপুর জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব এবং টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম ও বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যগণ, সিনিয়র সচিব এবং সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অংশগ্রহণকারী বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষ যাতে কোনভাবেই হয়রানী বা বঞ্চনার শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখাসহ প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃত জেলা প্রশাসকদের করণীয় হিসেবে অনুষ্ঠানে ৩১ দফা নির্দেশনাও প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বছরের ডিসি সম্মেলনে মোট ২৯টি অধিবেশন হবে এবং সম্মেলনে ৩৩৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
আইন-শৃংখলা, ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা প্রদানে বিভিন্ন অধিবেশনে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিবগণ অংশ নেবেন।
কর্ম অধিবেশনগুলো সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।
জেলা প্রশাসকগণ সম্মেলন চলাকালে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ১৮ জুলাই।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির স্বীকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ মাদকসেবীরা একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। এ ধরনের অপরাধ দমন করতে হবে। ঘুষ যে নেবে ও দেবে দুজনই সমান অপরাধী। বরং যে দেবে সে বেশি অপরাধী। এটা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ডিসিরা স্বপ্রণোদিত হয়ে নানা সামাজিক উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন। যার সুফল সাধারণ জনগণ পেতে পারে।
উদাহারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথমে উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে এরসঙ্গে তিনিও সম্পৃক্ত হন। তবে, যারা পেশাদার ভিক্ষুক, তাদেরকে এই পেশা থেকে সরানো কষ্টকর। অন্যদিকে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় মানুষ নতুন করে গৃহহারা ও নি:স্ব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যখনই এমন হবে তখনই তাঁদের পুনর্বাসন করতে হবে। কেউ ভিক্ষা করতে পারবে না। আর সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নকালে প্রকৃত দু:স্থরাই যেন সহায়তা পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা বেশি হলেও তা বোঝা নয়। জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা গেলে তারাই হবে উন্নয়নের মূল শক্তি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা প্রবৃদ্ধি ৮.১ ভাগ অর্জন করে উন্নয়নের রোল মডেল হতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ উন্নয়নের পেছনে সরকারে যারা রয়েছে তাঁদের সবারই অবদান রয়েছে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার মাত্র ১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে বর্তমানে ২২ হাজার মেগাওয়াট করেছে এবং দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
‘উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অপরিহার্য’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সারাদেশে তাঁর সরকারের একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন,‘কোন অঞ্চলে কী কাঁচামাল উৎপাদন হয় তার ভিত্তিতে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার লার্নিং এন্ড আর্নিং কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ব্রডব্রান্ড ইন্টারনেট সেবার ছড়িয়ে দিয়েছে। এ সেবার সুযোগ নিয়ে ঘরে বসে আউট সোর্সিয়ের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েরা এখন বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারছে। এজন্য ৯টি ভাষা সমৃদ্ধ একটি অ্যাপও তাঁর সরকার তৈরী করে দিয়েছে।
তবে, এ সময় দালালদের খপ্পড়ে পড়ে জনগণকে যেন সর্বস্বান্ত হতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে স্থানীয় সরকারকে আরও সক্রিয় করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা হচ্ছে স্থানীয় সরকারগুলোকে আরো শক্তিশালী করা। যাতে করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষ সরকারী সেবা পেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
চাষের জমি নষ্ট করে যত্রতত্র শিল্প কারখানা স্থাপন এবং স্থাপনা নির্মানে জনগণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য সম্মেলনে আগত ডিসিদের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতের পরিবেশ সুরক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন,‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। যত্র তত্র শিল্প কারখানা স্থাপনে নদীগুলো দূষিত হয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি এখন থেকেই ব্যবস্থা নেই তাহলে এগুলো থেকে বাই প্রডাক্টও হয়। সার উৎপাদন করা যায়। আর ভবিষ্যতে দেশ যত উন্নত হবে এই বর্জের পরিমানও বাড়বে। কাজেই সেদিকে এখন থেকেই দৃষ্টি দিতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে যেন মানুষের জীবন মান উন্নত হয়। দারিদ্রসীমা থেকে মানুষ যেন উঠে আসতে পারে। তাদের ক্রয় ক্ষমতা যেন বৃদ্ধি পায়। তাদের জীবন যাত্রা যেন আরও উন্নত হয়। গ্রাম থেকে শহরে আসার প্রবণতা যেন কমে যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদরে সকল পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোরদের সুস্থ-সবল দেহ ও মন গড়ে তোলার লক্ষ্যে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রত্যেক উপজেলায় সরকারের উদ্যোগে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রসংগ উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় সরকারের একটি মিনি ষ্টেডিয়াম করার উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিভিন্ন উপজেলায় স্কুল এবং কলেজের খেলার মাঠটিকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেটি কিন্তু উদ্দেশ্য নয়, স্টেডিয়াম বলতে চারদিকে আবার ঘেরাও করে ফেলা নয়, প্রাকৃতিক পরিবেশটাও ঠিক রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এর জন্য নকশাও তিনি ঠিক করে দিয়েছেন-এর অন্তত একদিকে গ্যালারি এবং অন্যদিকগুলো খোলা রাখা হবে এবং সেখানে প্রতিনিয়ত খেলাধূলা চলতে থাকবে। যাতে মানুষ হাঁটতে, চলতে ও দেখতে পারে।
তিনি বলেন, স্কুল কলেজের মাঠ হলে স্বাভাবিক পাঠদান যেমন ব্যাহত হতে পারে তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠানমালাও ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেক্ষেত্রে শহর থেকে একটু দূরে হলেও কেন অসুবিধা নেই কারণ সেখানেই শহর গড়ে উঠবে। আর দেশিয় খেলাখূলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার নিয়মিত আয়োজন করতে হবে। যাতে করে শিশুকাল থেকেই আগামী প্রজন্মের মন-মানসিকতার সুষ্ঠু বিকাশ ঘটতে পারে।
সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মকে বিকৃত করে যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করা হয় সেটা যেন আর না করা হয়। সেজন্য সেখানে প্রশিক্ষণ সহ সব ধরণের ববস্থা নিতে হবে।
ইতোমধ্যে মসজিদের জন্য জায়গা দেখে কাজ শুরু করা হচ্ছে, সেটা যাতে ভালভাবে হয় সেদিকেও জেলা প্রশাকদের নজর রাখার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সময় বৃদ্ধির প্রসংগ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন,‘আপনাদের মত বিনিময়ের ক্ষেত্রটাও সম্প্রসারিত করে দিয়েছি। যাতে সকলের সাথে মত বিনিময় করে আপনারা যেন দেশের উন্নয়নের কাজটা আরো ভালভাবে করতে পারেন, উন্নয়নের গতিটাকে আরো ত্বরান্বিত করতে পারেন। সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই এই সময়টা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’ সূত্র:বাসস