ধানের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে জামালপুরে ভাসানী অনুসারী পরিষদের স্মারকলিপি

ভাসানী অনুসারী পরিষদের দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

সারাদেশে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা ও মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ জামালপুর জেলা শাখা।। ৩০ মে দুপুরে তারা এ স্মারকলিপি পেশ করেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ৩০ মে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমবেত হন। পরে তারা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। এ সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা আইনজীবী খায়রুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আইনজীবী রবিউল আলম বাবলু, সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম সজল, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাবিবুর রশিদ বাবু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী দিলরুবা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল মিয়া ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী রোকসানা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে উৎপাদিত ধানের মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কয়েক গুণ কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিচ্ছে। পাকা ধানে মই দিচ্ছে এবং সড়কে ধান ছিটিয়ে প্রতিবাদ করছে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ধানের ন্যায্য মূল্য প্রতিমণ ১ হাজার ২০০ টাকা হওয়া প্রয়োজন। অথচ সরকার প্রতি মণ ধানের মূল্য ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা ধানের মূল্য পাচ্ছে প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। নেতৃবৃন্দ ধানের ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে এবং ধানের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কৃষকদের বাঁচানোর দাবি জানান।