বাঁশচড়ায় বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট

হামলায় মো. জাহিদ হাসানের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা কাটাখালি গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, ২৫ মে সকালে রফিকুল ইসলাম ১৫-২০ জনকে সাথে নিয়ে তার ছোট ভাই মো. জাহিদ হাসানের বাড়িতে হামলা চালান। হামলা করে জাহিদের বাড়ির আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, স্বর্ণলংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যান।

বাঁশচড়া ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. জাহিদ হাসান অভিযোগ করে বলেন, ২৫ মে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমি বাড়িতে না থাকায় আমার থাকার ঘরে হামলা চালিয়েছে আমার সহোদর বড়ভাই রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী জান্নাতুল বেগম ময়না, ছেলে মো. রুবেল ও শ্যালক এনামুল ইসলাম খোকনের নেতৃত্বে ভাড়া করে আনা ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী। রফিকুল, ময়না, রুবেলসহ খোকনের নেতৃত্বে আশা সন্ত্রাসীরা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে বেশকিছু গাছ কেটে ফেলে রেখে যায়। এছাড়া আমার ঘরের বারান্দা, ঘরের জানালা, দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে টিভি, আলমারিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় আলমারিতে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকাসহ প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তারা যাবার সময় পাশের বাড়িতে ধান শুকানোর কাজে নিয়োজিত আমার স্ত্রী ছামিরন বেগম ও আমার বড় বোনকেও বেধরক মারধর করে। মারধরের ফলে আমার স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলায় মো. জাহিদ হাসানের ক্ষতিগ্রস্ত টিভি ও আলমারি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এলাকাবাসী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, হামলা ও ভাংচুর করে তারা এলাকা ছেরে গা ঢাকা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম, জান্নাতুল বেগম ময়না, মো. রুবেলের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং রফিকুলের শ্যালক খোকনের ঠিকানা বা মুঠোফোন নম্বর কেউ বলতে পারেনি। রফিকুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

অভিযোগকারী এ প্রতিনিধির মাধ্যমে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে যথাযথ প্রতিকার দাবী করেন। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে অভিযোগকারী জানান।