জামালপুরে উন্নয়ন সংঘের কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবিকাদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুর হার হ্রাস করার মাধ্যমে স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কমিউনিটি বেইজড ইন্টারভেনশন ফর ইমপ্রোভিং সেক্সুয়াল, রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এন্ড রাইটস ইনক্লুডিং মেটারনাল এন্ড নিউবর্ণ হেলথ (এসআরএইচআরএমএনএইচ) প্রকল্পে কর্মরত কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবিকাদের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে। ৬ মে উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসির সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।

প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। অলোচনায় অংশ নেন জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক চিকিৎসক সাজদা-ই-জান্নাত তনু, জেলা জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা নুরুন্নবী খন্দকার নেন, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।

মাসাধীকালব্যাপী প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ব্যাচে সহায়ক ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, মাতৃসদনের চিকিৎসা কর্মকর্তাগণ, উন্নয়ন সংঘের জেন্ডার ফোকাল মিনারা পারভীন, জেলা ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র সরকার, হেলাল উদ্দিন, সমীর কুমার পান্ডে, আরজু মিয়া, রাসেল, বাদশা ও শাহানা বেগম।

প্রশিক্ষণে দুই ব্যাচে ৮৬ জন সিএইচভি অংশ নিয়েছে। সারা জেলায় এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৬১২ জন সিএইচভি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষতা অর্জন করেছে বলে সূত্র জানায়।

প্রশিক্ষণ সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ২০২০ সালের মধ্যে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রক্রিয়ায় মা, নবজাতক, কিশোর, কিশোরীদের সম প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে। সেবা প্রদানকারীদের গুণগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সেবা গ্রহিতাদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান, পরিবার পর্যায়ে আচরণ ও অভ্যাসগত ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। একই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে এবং সেবা গ্রহীতাদের সেবা গ্রহণের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।