সরকার মিডিয়ায় কোনো ধরনের সেন্সরশীপ আরোপ করছে না : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : বাংলাদেশে গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ভোগ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ১৯ এপ্রিল ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’-এর প্রতিবেদন নাকচ করেছেন।

‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’ কর্তৃক তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত ‘প্রেস ফ্রিডম সার্ভে ইনডেক্স’-এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সরকার মিডিয়ায় কোন ধরনের সেন্সরশীপ করছে না।’

ওই জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান চার ধাপ নিচে নেমে ১৫০তম হয়েছে।

১৯ এপ্রিল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘রূপসী বাংলা জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতা এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান’-এ যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি ওই প্রতিবেদনের সাথে একমত না এবং আমি মনেকরি বাংলাদেশে গনমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (বিপিজেএ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ড. হাছান বলেন, ‘সংগঠনটির সূত্রে, আমি জানি শীর্ষ দশটি দেশে সংবাদ প্রকাশে অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। এমনকি তাদেরকে (গণমাধ্যম) যেকোন ভুল সংবাদের জন্য জরিমানা দিতে হয়। আমি জানিনা তারা কিভাবে জরিপ করেছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং গত ১০ বছরে গণমাধ্যম শিল্পে একটি বিপ্লব ঘটেছে। সংবাদপত্রের সংখ্যা সাতশ’ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার দুইশ’ হয়েছে এবং ৩৩টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া সম্প্রচার চালাচ্ছে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, সরকার গণমাধ্যমের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রশ্নে তিনি বলেন, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিনি (বেগম জিয়া) এখন কারাগারে। ‘তিনি যদি জামিন প্রার্থনা করেন আদালতই একমাত্র তাকে জামিনে মুক্তি দিতে পারে। অন্যদিকে বেগম জিয়া যদি প্যারোলে মুক্তি চান তাহলে তার আবেদনটি সরকার বিবেচনা করবে। এছাড়া তার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই।’

বিএনপি’র নির্বাচিত এমপি’দের সংসদে যোগদানের সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা যদি সংসদে যোগ দেয় দেশের জনগণ তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরাও তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবো।

ড. হাছান বলেন, বিএনপি সংসদে যোগ দিলে তা হবে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। ‘আমি মনে করি তারা সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. হাছান ফটোসাংবাদিকতা পেশায় নতুনদের উৎসাহিত করার জন্য প্রতি বছর এধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করার জন্য ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের প্রতি আহবান জানান।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়া শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক কাজী আসাদুজ্জামান, বিপিজেএ’র সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

পরে মন্ত্রী তিনজন প্রবীণ ফটো সাংবাদিকের (মরনোত্তর) পরিবারের সদস্যদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। এই তিন সাংবাদিক হচ্ছেন এস এম মোজ্জাম্মেল হোসেন, মোশাররফ হোসেন লাল ও জহিরুল হক।সূত্র : বাসস