বৈরী পরিবেশ মোকাবেলা করতে শিখতে হবে : প্রফেসর আবদুল মান্নান

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘মানুষের জীবন চলার পথটা কখনোই মসৃণ হয় না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমরা শিখেছি বৈরী পরিবেশ কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়। সেটা আমাদের রক্তে মিশে গেছে। বৈরী পরিবেশ আসবে। বৈরী পরিবেশ মোকাবেলা করতে শিখতে হবে।’

তিনি ১৮ এপ্রিল সকালে জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রফেসর আবদুল মান্নান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘তোমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের যে দায় নিয়ে এখানে পড়ালেখা করতে এসেছো। সেই দায়টা মনে রাখতে হবে। একটা বিশ্ববিদ্যালয় আলোকিত মানুষ তৈরি করে। কোনো কূপমন্ডুক তৈরি করে না। কোনো পশ্চাদপদ চিন্তা চেতনার মানুষ তৈরি করে না। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের আলয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলো নতুন কিছু চিন্তা করার এবং নতুন কিছু শেখা ও শেখানোর একটা বিশাল জগৎ। তোমরা আলোকিত মানুষ হওয়ার চেষ্টা করবে। বাংলাদেশ কোথায় যাবে, সেই নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কিন্তু তোমাদেরই।’

দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি রোধে অভিযোগ বাক্স রাখা এবং পাঁচ সদস্যের কমিটি থাকার বিষয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক খন্দকার হামিদুর রহমান।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা মির্জা আজম, সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. রেজাউল করিম হীরা, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহিদুর রহমান, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ড. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে বিজ্ঞান অনুষদের গণিত, প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ম্যানেজমেন্ট এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সমাজকর্ম বিভাগের ১৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া দুই মেধাবী ছাত্র মো. আলমগীর কবীর ও দীপক চন্দ্র বর্মণের হাতে ২০ হাজার টাকা করে বৃত্তির টাকার চেক তুলে দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।