দেওয়ানগঞ্জে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

দেওয়ানগঞ্জে বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

ইউরোপিয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বিংগস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।

সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক আবু আহম্মদ সাফি, কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক তোফায়েল আহমদ, মৎস্যকর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মমতাজ আহম্মদ, সামিউল হক, সাংবাদিক খাদেমুল ইসলাম, জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লাইলী আক্তার, উন্নয়ন সংঘের এসআরএইচআরএমএনএইচ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, বিংগস প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিংগস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের উপজেলা সমন্বয়কারী শাহানা পারভীন।

জামালপুর ও শেরপুর জেলার পুষ্টিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শিশু এবং মায়েদের পুষ্টি স্থিতিশীলতাকে উন্নত করার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ইনিসিয়েটিভ টু এনহ্যান্স নিউট্রিশন সিকিউরিটি এন্ড গভরন্যান্স (বিংগস) প্রকল্প। প্রকল্পটি সম্পর্কে সরকারি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের ধারনায়ন সৃষ্টির উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হয় অবহিতকরণ সভা।

সভায় কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, সমাজসেবা, প্রাণিসম্পদসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের প্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৬০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

অবহিতকরণ সভা সূত্রে প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু পরিচর্যাকারী, পাঁচ বছরের নীচে শিশু, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা এবং কিশোরীদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উন্নয়ন করা। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রো পুওর গভরন্যান্সের মাধ্যমে পুষ্টি সম্পর্কিত গুণগত মান ও সেবা বৃদ্ধি করা। উন্নত পারিবারিক খাদ্য উৎপাদন, আয় বৃদ্ধি এবং পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমতা ও সংবেদনশীল পুষ্টি মূল্যক্রমের মাধ্যমে পারিবারিক খাদ্য গ্রহণের হার বৃদ্ধি। স্থানীয় জনসাধারণ, বেসরকারি পুষ্টি অংশীদার এবং স্থানীয় পুষ্টি কার্যক্রমের সমর্থনকারীদের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় করা।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় মোট ৮টি ইউনিয়নের ১৬৪ টি গ্রামের ৫ বছরের নীচে শিশু, দুগ্ধদানকারী মা, কিশোরী ও বায়োফর্টিফাইড কৃষক হবে কর্মসূচির লক্ষিত জনগোষ্ঠী।

উল্লেখ, জামালপুর ও শেরপুর জেলায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৮২৫টি দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার নিয়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৮৭ জন ৫ বছরের নীচের বয়সি শিশু, ৫০ হাজার ৭৩২ জন গর্ভবতী দুগ্ধদানকারী নারী এবং ৪৪ হাজার ৭৩৫ জন কিশোরী রয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে ৮ হাজার ৮৪৬ জন প্রতিবন্ধী শিশু এবং ৬ হাজার ৮০৪ জন প্রতিবন্ধী নারী ও কিশোরী রয়েছে।