
বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ হাজার হাজার মেধাবী তরুণদের জন্য আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ি, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারিদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর হাজার হাজার মেধাবী তরুণ-তরুণী সাফল্যের সাথে উচ্চশিক্ষা শেষ করে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি খুব জরুরী এবং এক্ষেত্রে আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।’
৯ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন চত্ত্বরে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ-২০১৯) উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তুলনামূলক সুযোগ-সুবিধা ও স্থানীয় সামর্থ্যরে ভিত্তিতে নতুন শিল্প ও কলকারখানা স্থাপনের উপর গূরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সহায়তা করবে।’
রাষ্ট্রপতি অগ্রগতির নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারি সরকারের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন (ব্লু- ইকোনমি) কার্যক্রমের উল্লেখ করে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারিদের ‘ব্লু-ইকোনমি’র সম্ভাবনা কাজে লাগানোর আহবান জানান।
তিনি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্টদের বিশেষায়িত জ্ঞানের প্রতি মনযোগী হওয়া, নতুন বাজার সৃষ্টি ও পণ্যের বহুমূখীকরনের আহবান জানান।
হামিদ বলেন, ‘পণ্যের মান উন্নয়নের পাশাপাশি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের ব্র্যান্ডিং এবং সেগুলোকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলার ব্যাপারে আপনাদের বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি পাট-ভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য, খাদ্য, হিমায়িত খাদ্য, হিমায়িত চিংড়ি, আম, আলুসহ অন্যান্য কৃষি-ভিত্তিক সামগ্রির রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
বিশ্ববাজারে স্থানীয় দেশীয় পণ্যের প্রসারের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেন, বিশ্বের ২০২টি দেশে পণ্যসামগ্রি রপ্তানি করে বাংলাদেশের ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ মিলিয়ন ডলার।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) গূরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে।
পরে, রাষ্ট্রপতি মাসব্যাপি ‘ডিআইটিএফ-২০১৯’ উদ্বোধন করেন। তিনি কয়েকটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। আজ থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপি এ মেলা ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এ বারের বাণিজ্য মেলায় ৬০টি প্রিমিয়াম প্যাভিলিয়ন, ৩৮টি প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি প্যাভিলিয়ন, ২৬টি বিদেশী প্যাভিলিয়ন ১৮টি সাধারন প্যাভিলিয়ন ও ২২টি খাবারের স্টলসহ মোট ৫৫০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেপাল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, হংকং, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, মৌরিশাস, রাশিয়া, ইরান, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহন করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, বাণিজ্য সচিব এম. মফিজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, দেশি ও বিদেশী ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দসহ বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এবং উর্ধতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
বাংলার চিঠি ডেস্ক : 



















