আমজাদ হোসেনের দাফন হবে জামালপুরে

আমজাদ হোসেন

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
প্রয়াত চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনকে তার আদি নিবাস জামালপুরেই দাফন করা হবে। এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করার কথা শোনা গেলেও ২১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আমজাদ হোসেনের পরিবার। খবর ডেইলি বাংলাদেশের।

২১ ডিসেম্বর দুপুরে তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, রাতে বাবার মরদেহ আসার পর আদাবরে বাসার পাশের স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদে প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাসায় নিয়ে আসা হবে। এ সময় আত্নীয় স্বজনরা শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবে।এরপর আব্বার মরদেহ সংরক্ষণের জন্য বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি বলেন, ২২ ডিসেম্বর সকালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আব্বার মরদেহ শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে এটিএন বাংলার সামনে। সেখান থেকে তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আব্বার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে চ্যানেল আই কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেও তৃতীয় দফায় জানাজা হবে। সেখান থেকে সরাসরি জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে।

দোদুল আরো বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী জামালপুরে তার আব্বা-আম্মার কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে। আমাদের কাছে আব্বা মরার আগেই বলেছিল। আর একটি ছেলে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি অডিও রেকর্ড নিয়ে এসে শোনায়। ওই ইন্টারভিউয়ের অডিওতে বাবা স্পষ্ট বলেছেন, মৃত্যুর পর যেন তাকে জামালপুরে সমাহিত করা হয়। কারণ তিনি মনে করতেন জামালপুরের মানুষই তাকে যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে। সেখানকার মানুষ তাকে যতটা ভালোবাসা দেবেন, তার থেকে বেশি ভালোবাসা কেউ দিতে পারবে না। বাবা বলেছেন, প্রথম কবিতা লিখে তিনি জামালপুরেই সুনাম অর্জন করেছিলেন।

তিনি বলেন, বাবা তার তার গোলাপী এখন ট্রেনে সিনেমায় কিন্তু জামালপুরের কবরস্থানকে দেখিয়েছেন। অডিও শোনার পর আমরা সিদ্ধান্ত বদলেছি। কারণ আমি শুনেছি ধর্মমতে মৃত্যুর আগে মানুষের বলে যাওয়া শেষ ইচ্ছা পূরণ করা উচিত। আর বাবা বলতেন, শহরের মানুষ বেশি দিন মনে রাখে না গ্রামের মানুষই আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন।

তিনি আরো জানান, জামালপুরে সমাহিত করা হলে ২২ ডিসেম্বর দাফন করা সম্ভব হবে না। সেজন্য ২৩ ডিসেম্বর দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে জামালপুরে তার কবরের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমজাদ হোসেন। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আসছে আমজাদ হোসেনের মরদেহ। ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঢাকায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ বহনকারী বিমানটি পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ