ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে জামালপুরে নিহত দুই পরিবহন শ্রমিক পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা নালিতাবাড়ী সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১০ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমরানের পরিবারের পাশে মাদারগঞ্জের যুবদলনেতা মোখলেছ এসএসসি : মাদারগঞ্জে ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাস করেনি এসএসসি : ময়মনসিংহ বোর্ডে সেরা জামালপুর, পাশের হার ৬০.১৯ % বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ সাতজনকে পুশইন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারালো টাইগাররা

টাইগারদের উচ্ছ্বাস। ছবি : সংগৃহিত

টাইগারদের উচ্ছ্বাস। ছবি : সংগৃহিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের হাতে ছিল ৮৯ বল।

৯ ডিসেম্বর মিরপুর-শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু বাংলাদেশের। সপ্তম ওভারে কেমার রোচের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হেটমেয়ারের কাছে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। তবে থার্ড আম্পায়ার সেটিকে নো বল ঘোষণা করেন।

এর কিছু পরেই রোস্তন চেজের বলে বিশুর হাতে ধরা পড়েন তামিম। একটু পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই থমাসের বলে সরাসরি বোল্ড হন ইমরুল কায়েস। প্রাথমিক চাপ সামলে দলের হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন দাস। তাদের ৪৭ রানের জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। দলের ৮৯ রানে কিমো পলের বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। ব্যক্তিগত ৪১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

এরপর মুশফিককে সঙ্গী করে দলের রান দ্রুত বাড়াতে থাকেন সাকিব। দলীয় ১৪৬ রানে রোভম্যান পাওয়েলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সাকিব ২৬ বলে ৩০ রান করতে চারটি চার মারেন। সাকিবের পরে মুশফিকের সাথী হন সৌম্য। সে ও উত্তেজনা ছড়িয়ে রোভম্যান পাওয়েলের বলে রোস্তন চেজের হাত বল তুলে দিয়ে ১৯ রানে ঘরের পথ ধরেন। তারপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশের। মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।মুশফিক ৫৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

শুরুতে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমেই সাফল্য তুলে নেয় বাংলাদেশ। দলীয় একশ রানের আগেই সফরকারীরা হারায় চার উইকেট। শুরুটা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে আক্রমণ করতে গিয়ে কিরণ পাওয়েল ক্যাচ তুলে দেন রুবেলের হাতে। এরপরেই চলতে থাকে মাশরাফির আগুন ঝড়া বোলিং। উইন্ডিজের প্রথম উইকেট পতনের পর জোড়া আঘাত করেন টাইগার দলপতি।

মাশরাফির বলে আক্রমণ করতে গেলে তামিমের এক দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ড্যারেন ব্রাভো। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে সেট হওয়া শাই হোপসকেও মিরাজের তালুবন্দিতে শিকার করেন মাশরাফি। ৭৮ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের স্কোরকে গতি আনতে ব্যাট হাতে নামেন ভয়ংকর হেটমেয়ার।

আর এতেই মাশরাফি পৌঁছে যায় আর এক মাইল ফলকে ওয়ানডেতে ২৫৩ উইকেট ছিল ভারতীয় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেবের সংগ্রহে। এই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যেতে মাশরাফির দরকার ছিল মাত্র দুটি উইকেট। মিরপুরে সেটিই করে দেখালেন ম্যাশ। ওয়ানডেতে সবমিলিয়ে ২৫৩ উইকেট নিতে ২২৫ ম্যাচ খেলতে হয়েছিল কপিল দেবকে। এদিক থেকেও এগিয়ে আছেন মাশরাফি। ২০০তম ম্যাচে মাঠে নেমেই কপিল দেবকে টপকে গেছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।

তারপর আঘাত হানেন মিরাজ। দলীয় ৯৪ রানে কিছু বুঝে উঠার আগে মিরাজ বোল্ড করে দেন এই বাঁহাতি হার্ড হিটার ভয়ংকর হেটমেয়ারকে। এই নিয়ে চলতি সিরিজে পাঁচ ইনিংসেই হেটমেয়ারকে আউট করলেন মিরাজ। দুই টেস্টের চার ইনিংসেই তিনি এই ক্যারিবিয়ানকে পরাস্ত করেন। এরপরই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে লিটনের শিকারে পরিণত করেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার জীবন পাওয়া সামুয়েলস আক্রমণ করার চেষ্টা করলে রুবেলের বলে বাউন্ডারি লাইনে লিটন দাসের তালুবন্দি হন।

এরপরই কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোস্তন চেজ ও কিমো পলের ব্যাটে ভর করে ৬১ রানের জুটি গড়ে তারা। পুরো ম্যাচ ভালো বল করেও উইকেট না পাওয়া মুস্তাফিজ চেজকে ফিরিয়ে দেন মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। এরপর আরো দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কিমো পল ও কেমার রোচ ঝড়ে ১৯৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারালো টাইগাররা

আপডেট সময় ০৮:২৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮
টাইগারদের উচ্ছ্বাস। ছবি : সংগৃহিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের হাতে ছিল ৮৯ বল।

৯ ডিসেম্বর মিরপুর-শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে উইন্ডিজের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু বাংলাদেশের। সপ্তম ওভারে কেমার রোচের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হেটমেয়ারের কাছে ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাস। তবে থার্ড আম্পায়ার সেটিকে নো বল ঘোষণা করেন।

এর কিছু পরেই রোস্তন চেজের বলে বিশুর হাতে ধরা পড়েন তামিম। একটু পরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই থমাসের বলে সরাসরি বোল্ড হন ইমরুল কায়েস। প্রাথমিক চাপ সামলে দলের হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন দাস। তাদের ৪৭ রানের জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। দলের ৮৯ রানে কিমো পলের বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। ব্যক্তিগত ৪১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

এরপর মুশফিককে সঙ্গী করে দলের রান দ্রুত বাড়াতে থাকেন সাকিব। দলীয় ১৪৬ রানে রোভম্যান পাওয়েলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সাকিব ২৬ বলে ৩০ রান করতে চারটি চার মারেন। সাকিবের পরে মুশফিকের সাথী হন সৌম্য। সে ও উত্তেজনা ছড়িয়ে রোভম্যান পাওয়েলের বলে রোস্তন চেজের হাত বল তুলে দিয়ে ১৯ রানে ঘরের পথ ধরেন। তারপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশের। মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।মুশফিক ৫৫ ও মাহমুদউল্লাহ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

শুরুতে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে নেমেই সাফল্য তুলে নেয় বাংলাদেশ। দলীয় একশ রানের আগেই সফরকারীরা হারায় চার উইকেট। শুরুটা করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে আক্রমণ করতে গিয়ে কিরণ পাওয়েল ক্যাচ তুলে দেন রুবেলের হাতে। এরপরেই চলতে থাকে মাশরাফির আগুন ঝড়া বোলিং। উইন্ডিজের প্রথম উইকেট পতনের পর জোড়া আঘাত করেন টাইগার দলপতি।

মাশরাফির বলে আক্রমণ করতে গেলে তামিমের এক দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন ড্যারেন ব্রাভো। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে সেট হওয়া শাই হোপসকেও মিরাজের তালুবন্দিতে শিকার করেন মাশরাফি। ৭৮ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের স্কোরকে গতি আনতে ব্যাট হাতে নামেন ভয়ংকর হেটমেয়ার।

আর এতেই মাশরাফি পৌঁছে যায় আর এক মাইল ফলকে ওয়ানডেতে ২৫৩ উইকেট ছিল ভারতীয় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কপিল দেবের সংগ্রহে। এই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যেতে মাশরাফির দরকার ছিল মাত্র দুটি উইকেট। মিরপুরে সেটিই করে দেখালেন ম্যাশ। ওয়ানডেতে সবমিলিয়ে ২৫৩ উইকেট নিতে ২২৫ ম্যাচ খেলতে হয়েছিল কপিল দেবকে। এদিক থেকেও এগিয়ে আছেন মাশরাফি। ২০০তম ম্যাচে মাঠে নেমেই কপিল দেবকে টপকে গেছেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।

তারপর আঘাত হানেন মিরাজ। দলীয় ৯৪ রানে কিছু বুঝে উঠার আগে মিরাজ বোল্ড করে দেন এই বাঁহাতি হার্ড হিটার ভয়ংকর হেটমেয়ারকে। এই নিয়ে চলতি সিরিজে পাঁচ ইনিংসেই হেটমেয়ারকে আউট করলেন মিরাজ। দুই টেস্টের চার ইনিংসেই তিনি এই ক্যারিবিয়ানকে পরাস্ত করেন। এরপরই ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে লিটনের শিকারে পরিণত করেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার জীবন পাওয়া সামুয়েলস আক্রমণ করার চেষ্টা করলে রুবেলের বলে বাউন্ডারি লাইনে লিটন দাসের তালুবন্দি হন।

এরপরই কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রোস্তন চেজ ও কিমো পলের ব্যাটে ভর করে ৬১ রানের জুটি গড়ে তারা। পুরো ম্যাচ ভালো বল করেও উইকেট না পাওয়া মুস্তাফিজ চেজকে ফিরিয়ে দেন মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। এরপর আরো দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কিমো পল ও কেমার রোচ ঝড়ে ১৯৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ