সাংবাদিক শাহরিয়ার শহীদের দাফন ১৯ নভেম্বর

শাহরিয়ার শহীদ

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার শহীদের দাফন ১৯ নভেম্বর তার নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এদিন শাহরিয়ার শহীদের মরদেহ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ডৌকার চর গ্রামে নেওয়া হবে এবং সেখানে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

এর আগে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর শাহরিয়ার শহীদের মরদেহ সোয়া ১২টায় তার নিজ কর্মস্থল বাসস-এ নেয়া হবে। এখানে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহ দুপুর একটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নেয়া হবে এবং সেখানে বাদ জোহর মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশিষ্ট সাংবাদিক শাহরিয়ার শহীদ ১৭ নভেম্বর দুপুর একটা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।

তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলে, দুইবোন এবং বহু আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

শাহরিয়ার শহীদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪ নভেম্বর নগরীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন এবং করনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শাহরিয়ার শহীদ খ্যাতিমান সাংবাদিক ও অধুনালুপ্ত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক মরহুম এ কে এম শহীদুল হকের ছেলে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার শহীদ বহুবিধ প্রতিভার অধিকারি ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ও অঞ্চল ভিত্তিক ৩০টি প্রামান্য গ্রন্থের সম্পাদক এবং বেশ কয়েকটি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেন।

কর্মজীবনেও রিপোর্টার হিসেবে শাহরিয়ার শহীদ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিটসহ বিভিন্ন বিটে কাজ করেছেন। একসময় তিনি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের স্ট্রিংগার ছিলেন।

শাহরিয়ার শহীদ আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও উদারনৈতিক সুফিবাদের একনিষ্ঠ অনুরাগী ছিলেন।
সূত্র : বাসস