দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ফলাফল জানাবেন প্রধানমন্ত্রী

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন।

৫ নভেম্বর সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দেবেন। আগামী ৮ বা ৯ নভেম্বর এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তিনি বলেন, দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপের সারসংক্ষেপ তৈরি করতে তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার স্থিতিশীল মুডে আছে। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কেউ যদি সেই নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে, তাহলে সেই ষড়যন্ত্র কঠোর হাতে দমন করার জন্যও প্রস্তুত।

সংলাপের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের কিছু-কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছোট পরিসরে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হলে অনেক কিছুই আমাদের সীমানায় থাকবে না। সংলাপে যুক্তিসঙ্গত কোনো প্রস্তাব থাকলে আলাপ-আলোচনা করে মেনে নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক চেয়েছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকে আমাদেরও আপত্তি নেই, আমরা একমত। তবে এটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের, সরকারের নয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তারা নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চেয়েছেন। আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে রাজি আছি। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা নিরাপত্তা ছাড়া কোনও বাড়তি সুযোগ নেবেন না। এসময় প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করবেন না, প্রধানমন্ত্রী শুধু দলীয় পতাকা ব্যবহার করবেন। প্রধানমন্ত্রী যদি গাড়িতে শুধু দলীয় পতাকা ব্যবহার করেন, তাহলে এটিই তো একটি বড় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। ৮ তারিখ তফসিল ঘোষণা হবে, কাজেই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নাই।

বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত ও ইংল্যান্ডে নির্বাচনের সময় তো সংসদ ভেঙে দেওয়া লাগে না। তাহলে বাংলাদেশে এর ব্যাতিক্রম হবে কেন। যুক্তফ্রন্ট এই ক্ষেত্রে একটি দাবি জানিয়েছে যে, নির্বাচনের সময় সংসদ নিষ্ক্রিয় রাখতে হবে। আমরা সেই দাবি মেনে নিয়েছি। নির্বাচনের সময় এমপিদের ক্ষমতা থাকবে না।
সূত্র : বাসস