সড়কে ভোগান্তি বাড়ছেই

জনমানবশূন্য জামালপুর কেন্দ্রীয় বাসটারমিনাল। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর, বাংলারচিঠি ডটকম

সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্তদের সাজা কমানো এবং আইনে জামিনযোগ্য বিধান রাখাসহ আটদফা দাবিতে ডাকা পরিবহন শ্রমিকদের টানা ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন ২৯ অক্টোবর জামালপুর কেন্দ্রীয় বাসটারমিনাল জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। আটকা পড়েছে দুই শতাধিক বাস। সড়ক পথে চলছে না কোনো প্রকার মোটরযান। যমুনা সারকারখানা থেকে ট্র্রাকে ইউরিয়া সার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে করে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় ২৯ অক্টোবর ভোর থেকেই জামালপুর কেন্দ্রীয় বাসটারমিনাল জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। ক্রেতা না থাকায় টারমিনালকে ঘিরে রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ও হোটেলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। টারমিনালে ইজিবাইক ও রিকশা পর্যন্ত থামতে দিচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে বিকল্প যানবাহন না পেয়ে অনেক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে। পরিবহন শ্রমিকদের এ আন্দোলনের কারণে জেলার সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সারকারখানা থেকে ইউরিয়ার সার পরিবহনেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। আজ সোমবারও সেখান থেকে সারবাহী কোনো ট্রাক ছেড়ে যায়নি।

জামালপুর জেলা ট্রাক-চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মোতালেব বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, প্রায় ৩৫০টি ট্রাক যমুনা সারকারখানার ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত থাকে। পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি কারণে ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা সারসহ সব ধরনের পণ্য পরিবহনে বিরত রয়েছে। আমরা আইন বাতিলের দাবি করছি না। আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত অবস্থায় কেন্দ্রীয় ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুব আনাম বাবলা বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য হুট করে কর্মবিরতি কর্মসূচি দেয়নি। সড়ক আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই সরকারকে আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ শ্রমিকবান্ধব আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ফেডারেশনের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছি। সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না দিতে পারলে আন্দোলন আরো কঠোর হতে পারে।