জামালপুরে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মুনছের আলীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিহত ঝালমুড়ি বিক্রেতা মুনছের আলী। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর পৌরসভার বটতলা রেলক্রসিং সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাসায় মুনছের আলী (২৩) নামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের চারদিন পর ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই পরিত্যক্ত বাসার একটি কক্ষ থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। নিহত ওই যুবক পৌরসভার বাগেরহাটা নামাপাড়া গ্রামের দরিদ্র রিকশাচালক আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, জামালপুর শহরের বটতলা রেলক্রসিং সংলগ্ন সরদারপাড়া রোডের একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে ২ সেপ্টেম্বর সকালে উৎকট দুর্গন্ধ টের পায় প্রতিবেশী ও পথচারীরা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মৃত মানুষের গন্ধ বলে সন্দেহ হয় এবং তারা সদর থানায় খবর দেয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে যান। পুলিশ দরজা ভেঙ্গে একটি কক্ষ থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় শহরের উৎসুক শত শত মানুষ ওই পরিত্যক্ত বাসার সামনে ভিড় জমান। এ সময় শহরের বাগেরহাটা এলাকা থেকে নিখোঁজ ঝালমুড়ি বিক্রেতার মা মর্জিনা বেগমসহ পরিবারের স্বজনরা লাশটি মুনছের আলীর বলে শনাক্ত করে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত মুনছের আলীর শোকার্ত মা মর্জিনা বেগম বাংলার চিঠি ডটকমকে জানান, তার ছেলে মুনছের আলী ৩০ আগস্ট দুপুর দু’টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এরপর আর বাড়ি ফিরে যায়নি। তারা বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। মুনছের আলী বিবাহিত। তার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি আরও জানান, তার ছেলে মুনছের আলী জামালপুর শহরে ফেরি করে ঝালমুড়ি বিক্রি, ভাঙ্গারি মালামাল কুড়ানো এবং মাঝে মধ্যে রিকশাচালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছিমুল ইসলাম বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘অর্ধগলিত লাশটি দেখে মনে হচ্ছে তিন-চারদিন আগে সে মারা গেছে। যে কক্ষে লাশ পড়ে ছিল সেই কক্ষে টিনের চাল কাটা এবং মেঝেতে বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুরি করার উদ্দেশে সে ওই ঘরে ঢুকেছিল। ভেতরে বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে সে মারা গেছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখছি। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।’