মেলান্দহে হামলায় নিহত মুসলিম সমাহিত

এম ইউ শাকিল, জামালপুর॥
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলার পাঁচদিন পর নিহত মোহাম্মদ মুসলিমের জানাজা নামাজ ৩০ আগস্ট সকালে মরহুমের নিজ বাড়ি আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়েছে। ২৮ আগস্ট দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর খবরের পর থেকে হামলাকারী ও তার পরিবারের সদস্যরা গা-ঢাকা দিয়েছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং মেলান্দহের আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে ২৯ আগস্ট নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোহাম্মদ মুসলিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার দুবাই প্রবাসী রফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে মেলান্দহের আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তার বড় ভাই মোহাম্মদ মুসলিম, ভাগিনা আমজাদ, ছেলে মহন ও মুখলেছ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুপুর ১টার দিকে আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামে ইসমাইলের বাড়ির সামনে রাস্তায় রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় একই গ্রামের মিঠু, রবিউল ইসলাম, বাবু, মানিক মিয়া, রবিন, বাদশা ও হোসেন আলী। ওই হামলায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন মোহাম্মদ মুসলিম(৫০), রফিকুল ইসলাম (৪০), আমজাদ (৩৫), মহন(২০) ও মুখলেছকে (১৮)। পরে গুরুতর আহত মোহাম্মদ মুসলিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আহত অন্যদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত পাঁচ দিন যাবৎ মোহাম্মদ মুসলিম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন।

এদিকে ঘটনার সময় হামলাকারীরা ব্যাগসহ স্বর্ণের একটি চেইন, দুইটি বেসলেট, দুইটি মোবাইল সেট ও প্রায় তিন লাখ টাকা তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত রফিকুল ইসলাম ও আমজাদ । এ ঘটনায় মুসলিমের ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা গেদা বাদি হয়ে ওই হামলাকারী ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে মুখলেছ ও আমিত্তি মধ্যপাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে বাবু ঢাকায় চাকরি করে এবং একই সাথে মেছে থাকে। তাদের মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। ওই ঘটনার জের ধরেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।