ঢাকা ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

জামালপুরে যানজট নিরসনে আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থীদের অনন্য দৃষ্টান্ত

রেলগেট এলাকায় যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

রেলগেট এলাকায় যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর শহরের ব্যস্ততম প্রধান সড়কের রেলগেট এলাকায় জনদুর্ভোগ লাঘবে যানজট নিরসন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের কয়েকজন ছাত্র। ২ আগস্ট সকালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি তারা স্বেচ্ছায় এ কাজে অংশ নেয়।

জামালপুর শহরের রেলগেট এলাকায় প্রধান সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে সব সময়। এ নিয়ে শহরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা আটকা পড়তে হয় এই রেলগেট এলাকায়। যখন ট্রেন চলাচল করে না তখনও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। পীঠে ব্যাগ, সাদা-কালো ইউনিফরম পরা কয়েকজন যুবক যানবাহন চালকদের একসারিতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে সেখানে দুই-তিন সারিতে গাড়ি চলাচল করতো। ফলে তীব্র যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হতো। সেখানে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও ওই যুবকদের তাৎক্ষণিক এই উদ্যোগে সকল গাড়ি রাস্তার দুই পাশে এক সারিতে চলাচল করায় কোনো যানজট নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে রেলগেট পাড় হয়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যেতে পারছেন। পরে জানা যায় ওই যুবকরা সবাই সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্র।

তারা প্রায় দু’ঘন্টা সময় ধরে সেখানে এক সারিতে গাড়ি চলাচলে বাধ্য করে। তারা পরবর্তী সময়েও এক সারিতে গাড়ি চালানোর জন্য গাড়িচালকদের উদ্বুদ্ধ করে। তাদের তাৎক্ষণিক এই উদ্যোগে ওই এলাকায় কোনো যানজট হয়নি। যানজট নিরসনে ছাত্রদের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা বেশ স্বাগত জানিয়েছে।

যানজট নিরসনের কাজে নিয়োজিত সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান বাংলার চিঠি ডটকমকে বলে, ‘আমাদের জামালপুরের এই রেলগেটে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। আমরা চেষ্টা করলাম যাতে গাড়িগুলো একসারিতে চলে। এটা আমরা ট্রাফিক পুলিশদের দেখালাম যে তাদেরকে এখানে এই কাজটিই করতে হবে। চালকদের বোঝাতে হবে তারা যাতে এলোমেলোভাবে গাড়ি না চালায়। কোনো গাড়ি যাতে অন্যটাকে ওভারটেক না করে। সব সময় এভাবে গাড়ি চলাচল করলে এই এলাকায় আর যানজট থাকবে না।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা

জামালপুরে যানজট নিরসনে আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থীদের অনন্য দৃষ্টান্ত

আপডেট সময় ১০:০০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮
রেলগেট এলাকায় যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা। ছবি : বাংলার চিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুর শহরের ব্যস্ততম প্রধান সড়কের রেলগেট এলাকায় জনদুর্ভোগ লাঘবে যানজট নিরসন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের কয়েকজন ছাত্র। ২ আগস্ট সকালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি তারা স্বেচ্ছায় এ কাজে অংশ নেয়।

জামালপুর শহরের রেলগেট এলাকায় প্রধান সড়কে তীব্র যানজট লেগেই থাকে সব সময়। এ নিয়ে শহরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। যাত্রীদের ঘন্টার পর ঘন্টা আটকা পড়তে হয় এই রেলগেট এলাকায়। যখন ট্রেন চলাচল করে না তখনও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ২ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে রেলগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। পীঠে ব্যাগ, সাদা-কালো ইউনিফরম পরা কয়েকজন যুবক যানবাহন চালকদের একসারিতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে সেখানে দুই-তিন সারিতে গাড়ি চলাচল করতো। ফলে তীব্র যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হতো। সেখানে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও ওই যুবকদের তাৎক্ষণিক এই উদ্যোগে সকল গাড়ি রাস্তার দুই পাশে এক সারিতে চলাচল করায় কোনো যানজট নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে রেলগেট পাড় হয়ে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যেতে পারছেন। পরে জানা যায় ওই যুবকরা সবাই সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের ছাত্র।

তারা প্রায় দু’ঘন্টা সময় ধরে সেখানে এক সারিতে গাড়ি চলাচলে বাধ্য করে। তারা পরবর্তী সময়েও এক সারিতে গাড়ি চালানোর জন্য গাড়িচালকদের উদ্বুদ্ধ করে। তাদের তাৎক্ষণিক এই উদ্যোগে ওই এলাকায় কোনো যানজট হয়নি। যানজট নিরসনে ছাত্রদের এই উদ্যোগকে স্থানীয়রা বেশ স্বাগত জানিয়েছে।

যানজট নিরসনের কাজে নিয়োজিত সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান বাংলার চিঠি ডটকমকে বলে, ‘আমাদের জামালপুরের এই রেলগেটে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। আমরা চেষ্টা করলাম যাতে গাড়িগুলো একসারিতে চলে। এটা আমরা ট্রাফিক পুলিশদের দেখালাম যে তাদেরকে এখানে এই কাজটিই করতে হবে। চালকদের বোঝাতে হবে তারা যাতে এলোমেলোভাবে গাড়ি না চালায়। কোনো গাড়ি যাতে অন্যটাকে ওভারটেক না করে। সব সময় এভাবে গাড়ি চলাচল করলে এই এলাকায় আর যানজট থাকবে না।’