যমুনা সার কারখানার নিরাপত্তা কর্মকর্তা নূরুল আমিনকে মারধর

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী ॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানার উপব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) নূরুল আমিন শিকদার কতিপয় বহিরাগত ও কারখানার সিবিএ নেতাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৩১ জুলাই দুপুরে এ ঘটনার পর থেকে ওই কর্মকর্তা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

জানা গেছে, সার কারখানার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মচারী ও কারখানার সিবিএ এর অর্থ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবলু ৩১ জুলাই বেলা ১২টার দিকে নির্ধারিত সময়ের আগে কারখানা থেকে বের হতে চাইলে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী আব্দুল হাকিম কারখানার গেটে তার ত্যাগের অনুমতিপত্র দেখতে চান। এ নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীর সাথে গোলাম মোস্তফার বাবলু কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় কারখানার উপ-ব্যবস্থাপক নূরুল আমীন শিকদার তার অফিস থেকে এসে উভয়কে শান্ত করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী নিরাপত্তা কর্মকর্তা নূরুল আমীন শিকদারকে প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলার সিবিএ এর কার্যালয়ে ডেকে নেন। দু’জনের মধ্যে কথা চলার এক পর্যায়ে তারাকান্দি শাখা ট্রাক-ট্যাংলড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ বহিরাগত লোকজন সিবিএ নেতা শাহজাহান আলীর সামনেই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মারধর করেন।

এ ব্যাপারে নিরাপত্তা কর্মকর্তা নুরুল আমিন শিকদার বলেন, সিবিএ নেতা গোলাম মোস্তফা বাবলু ও নিরাপত্তাকর্মীর সাথে তর্ক হচ্ছিল। আমি বিষয়টি থামাতে গেলে উত্তেজিত হয়ে সিবিএ নেতারা আমাকে লাঞ্ছিত এবং পরে সিবিএ এর অফিসে ডেকে নিয়ে মারধর করে।

সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী বলেন, দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমঝোতার জন্য বসলে কিছুটা উত্তেজনা হয়েছিল। তবে তাকে মারা হয়নি। সে-ই সিবিএ নেতা গোলাম মোস্তফা বাবলুকে লাঞ্ছিত করেছে।

যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবা সুলতানা বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।