জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার আইনি নির্দেশনার আলোকে জেলায় জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখা। দলীয় গতিশীলতার ফলে জাতীয়ভাবে পঞ্চম স্থান এবং গত ত্রৈমাসে চতুর্থ স্থান লাভ করার গৌরব অর্জন করে জামালপুর জেলা।
এ উপলক্ষে ১৯ অক্টোবর, রবিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।
জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ৪৭তম অবস্থান থেকে পঞ্চম স্থান লাভ করেছে তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে সম্মননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এর আগের কোয়ার্টারে চতুর্থ স্থান লাভ করে জামালপুর।

এ ব্যাপার জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় নীচ থেকে সেরা পাঁচে আমরা উন্নীত হয়েছি। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি নিরন্তর পরিশ্রম এবং সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে জেলার সুনাম বয়ে এনেছেন। তিনি মাঠপর্যায়ে গ্রাম পুলিশ থেকে শুরু করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাজের সাথে যুক্ত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ আজিজুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকী, মেলান্দহ পৌরসভার প্রশাসক এস.এম আলমগীর, জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার স্বাগত সাহা, স্থানীয় সরকার শাখার সহকারী পরিচালক চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ, দিগপাইত ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, চরগোয়ালিনি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফ উদ্দিন, কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. বজলুল হক, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহনাজ আক্তার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মর্জিনা খাতুন, দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মিনহাজুর রহমান, চরগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. জাফর আলম, জামালপুর সদর উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. নয়ন মিয়া, আব্দুন নূর, দিগপাইত ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ, কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশগণ।

স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে আমাদের টিমস্প্রিরিট ছিল উদাহরণ দেওয়ার মত। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাজে ৬৪ জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।
প্রসঙ্গত, শিশু অধিকার সংরক্ষণ থেকে শুরু করে জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে জন্মনিবন্ধন আজ অনিবার্য বাস্তবতা। বিদ্যালয়ে ভর্তি, ভাতা প্রাপ্তি, জাতীয় পরিচয়পত্র, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ, চাকরি, যেকোন ধরনের লাইসেন্স, পাসপোর্ট, বিয়ে, জমি ক্রয়, বিক্রয়সহ বিভিন্ন কাজে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। একইভাবে মৃত ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য পাওয়ার জন্যও মৃত্যু নিবন্ধন লাগে।