ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিনন্দেরপাড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মোল্লাপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব মহেশপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নান্দিনা তারুণ্য উদ্যমী সংঘ স্পোর্টিং ক্লাব জামালপুরে ইয়াবা ব্যবসায়ী দম্পতি গ্রেপ্তার, ২২ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ ইসলামপুরে বেড়েই চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদ অরাজনৈতিক সংগঠন প্রিয় জামালপুর সমাজকল্যাণ সংস্থা’র যাত্রা শুরু জামালপুর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে নবীনবরণ, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা শেরপুর সরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থীর উঠান বৈঠক ঝাউগড়ায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছে রক্তের বন্ধন টিকিট কালোবাজারি জামাল গ্রেপ্তার, ৮টি টিকিট জব্দ

মাদারগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমায় টিইও’র গড়িমসি

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন বেগম পান্নার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নুরুল আমিন। তদন্তের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন পৌঁছায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ধামাচাপা দিতেই টিইও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্ব করছেন।

৬ আগস্ট, বুধবার বাংলারচিঠি ডটকমে “৬ শিক্ষকের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকা অর্ধনমিত” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

প্রতিবেদকের সরেজমিন তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা স্বীকার করেন, ম্যাডাম উপজেলা অফিসে গেছেন। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকার কারণ তারা ব্যাখ্যা করতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে তখন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেছিলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান ১০ আগস্ট, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তও সম্পন্ন করেন। কিন্তু এক মাস ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোন তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দেননি। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে টিইও নুরুল আমিন দাবি করে এ প্রতিবেদককে বলেছেন, আমি তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

জেলা অফিসের বক্তব্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় বিষয়টি এখন প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেদন গায়েব রেখে দায়ীদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরুক। অনিয়মকারী যত বড় কর্মকর্তা হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন ২০১৯ সালের ১৩ মে থেকে মাদারগঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিনের অবস্থানই তাকে প্রশাসনিকভাবে প্রভাবশালী করে তুলেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিনন্দেরপাড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মোল্লাপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব

মাদারগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমায় টিইও’র গড়িমসি

আপডেট সময় ১০:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মোসলেমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরীন বেগম পান্নার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) নুরুল আমিন। তদন্তের দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন পৌঁছায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা ধামাচাপা দিতেই টিইও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্ব করছেন।

৬ আগস্ট, বুধবার বাংলারচিঠি ডটকমে “৬ শিক্ষকের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই একজনও, পতাকা অর্ধনমিত” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

প্রতিবেদকের সরেজমিন তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা মেলে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা স্বীকার করেন, ম্যাডাম উপজেলা অফিসে গেছেন। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকার কারণ তারা ব্যাখ্যা করতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে তখন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন বলেছিলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান ১০ আগস্ট, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনার পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তও সম্পন্ন করেন। কিন্তু এক মাস ২৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান এ প্রতিবেদককে বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোন তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দেননি। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে টিইও নুরুল আমিন দাবি করে এ প্রতিবেদককে বলেছেন, আমি তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

জেলা অফিসের বক্তব্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ায় বিষয়টি এখন প্রশাসনিক জটিলতায় পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেদন গায়েব রেখে দায়ীদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরুক। অনিয়মকারী যত বড় কর্মকর্তা হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন ২০১৯ সালের ১৩ মে থেকে মাদারগঞ্জে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিনের অবস্থানই তাকে প্রশাসনিকভাবে প্রভাবশালী করে তুলেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।