ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ জামালপুরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন হবে : ডক্টর ছামিউল হক সিডসের উদ্যোগে হাত ধোয়া দিবসে বড়দের হাত ধোয়ার কৌশল শেখালো শিশুরা গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন তবুও বহাল তবিয়তে চরপাকেরদহ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নিজাম দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শেরপুরে কলেজ শিক্ষকদের কর্মবিরতি ‘এনসিপি শুধুমাত্র সিটের রাজনীতির জন্য কারো সাথে জোট করবে না’ মাদারগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ, ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা জিল বাংলা চিনি কলে আখচাষিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সরিষাবাড়ীর সীমান্ত এলাকায় জমির বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৫

সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় জমির বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুরের মনসুর নগর ইউনিয়নের ছালালচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আকাশ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, রাসেল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সাব্বির ও শাহীন আলম। এ ছাড়াও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান।

আহতদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকার জয়নাল খন্দকারের ছেলে সামছুল খন্দকার ও মৃত আব্দুর রহিম মুন্সির ছেলে রফিকুল ইসলামের মধ্যে প্রায় ৫ একর ৪২ শতাংশ ফসলি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ওই জমিতে রফিকুল ইসলামের লোকজন হাল দিতে গেলে সামছুল হক খন্দকারের লোকজন বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি বাঁধে। একপর্যায় রফিকুল ইসলামের লোকজন সামছুল খন্দকারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

ভুক্তভোগী সামছুল হক খন্দকার বলেন, জমির (সিএস, আরওআর ও বিআরএস) সকল রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শালিস বৈঠকে মাতাব্বরগণ জমির কাগজপত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবুও তারা জমি ছাড়তে রাজি নয়। পরে আদালতে সাত ধারা মামলা করা হয়। প্রতিপক্ষ আদালতে হাজির হয়ে মুচলেকা দিয়ে আসে। ফের জমিতে হালচাষ করতে যায়। এতে বাধা দিলে তাদের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে। এর বিচার দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই জমি আমাদের এবং আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ করে তারা জমির মালিকানা দাবি করছে। কয়েকদিন আগে জমিতে তারা জোরপূর্বক কলাই বুনেছে। আজ সেই জমিতে হাল চাষ করতে গেলে তারা বাধা দেয়। পরে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, জমির বিরোধে মারামারি ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে মতবিনিময়

সরিষাবাড়ীর সীমান্ত এলাকায় জমির বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৫

আপডেট সময় ১০:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় জমির বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুরের মনসুর নগর ইউনিয়নের ছালালচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- মানিক মিয়া, দুলাল মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আকাশ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, রাসেল মিয়া, সোহাগ মিয়া, সাব্বির ও শাহীন আলম। এ ছাড়াও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যান।

আহতদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকার জয়নাল খন্দকারের ছেলে সামছুল খন্দকার ও মৃত আব্দুর রহিম মুন্সির ছেলে রফিকুল ইসলামের মধ্যে প্রায় ৫ একর ৪২ শতাংশ ফসলি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ওই জমিতে রফিকুল ইসলামের লোকজন হাল দিতে গেলে সামছুল হক খন্দকারের লোকজন বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি বাঁধে। একপর্যায় রফিকুল ইসলামের লোকজন সামছুল খন্দকারের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

ভুক্তভোগী সামছুল হক খন্দকার বলেন, জমির (সিএস, আরওআর ও বিআরএস) সকল রেকর্ড আমাদের নামে হয়েছে। এলাকায় এই নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শালিস বৈঠকে মাতাব্বরগণ জমির কাগজপত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবুও তারা জমি ছাড়তে রাজি নয়। পরে আদালতে সাত ধারা মামলা করা হয়। প্রতিপক্ষ আদালতে হাজির হয়ে মুচলেকা দিয়ে আসে। ফের জমিতে হালচাষ করতে যায়। এতে বাধা দিলে তাদের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে। এর বিচার দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই জমি আমাদের এবং আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছি। হঠাৎ করে তারা জমির মালিকানা দাবি করছে। কয়েকদিন আগে জমিতে তারা জোরপূর্বক কলাই বুনেছে। আজ সেই জমিতে হাল চাষ করতে গেলে তারা বাধা দেয়। পরে এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের জানান, জমির বিরোধে মারামারি ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।