ঢাকা ০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে পাঁচটি আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেলেন যারা ‘যমুনা উপজেলা’ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ইসলামপুরে ৭১ এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ মাদারগঞ্জে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা হল ৫ মেলান্দহে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার বকশীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে মুরগি বিতরণ সরিষাবাড়ীতে অনুমোদনহীন ভবনের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা জামালপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতার পর অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১ জামালপুরে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ নির্বিঘ্নে জিতলো টাইগাররা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৫৩ রানের টার্গেট মামুলি বানিয়ে ফেলন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ঠান্ডা মাথায় বড় একটা জুটি গড়ে দিয়েছেন তারা। ফলে টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ নির্বিঘ্নে জিতে মাঠ ছেড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় টাইগাররা।

মূলত টাইগারদের ওপেনিং জুটির কাছেই হেরে গেছে আফ্রিকানরা। সৌম্য আর নাঈম মিলে ১৩.১ ওভারে এনে দেন ১০২ রান।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকলেও খেলা হয়নি নাঈম শেখের। তবে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন দু’জনই।

ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় নিয়মিত ওপেনার লিটন দাসও নামেননি। ফলে ওপেন করতে নামেন সৌম্য ও নাঈম।

শুরুতে কিছুটা ধীরস্থির থাকলেও, সময় গড়াতেই খোলস ছেড়ে বের হন তারা। শুরু করেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের আক্রমন। এরইমধ্যে দু’জন মিলে দলকে সেঞ্চুরি জুটি উপহার দিয়েছেন। ফিফটি তুলে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।

তবে ফিফটি করার পরপরই রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। ৪৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ৫০ রান।

৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানআউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনিও। তার সংগ্রহ ১৫ রান।

অন্যপ্রান্তে অবিচল নাঈম শেখ। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ততক্ষণে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ৬৬ রান (৫১ বল)। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৬ রান (৮ বল) করে।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৫৩ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। দুর্দান্ত শুরুর পরও, টাইগার বোলারদের তোপের মুখে ১৫২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানে ওপেনার মারুমানিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে ২য় উইকেটে মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৪ রান যোগ করেন মাধভেরে ও রেজিস চাকাভা।

মাধভেরেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত খেলতে থাকা চাকাভা কিছুক্ষণ পরই রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪৩ রান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ডিয়ন মেয়ার্স খেলেন ২২ বলে ৩৫ রানের একটি ইনিংস। কিন্তু অন্যরা একের পর এক ফেরার মিছিলে যোগ দেন। ফলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা দেখালেও, ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ নেন ৩টি উইকেট। সাইফউদ্দিন ও শরিফুল নেন ২টি করে উইকেট।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে পাঁচটি আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পেলেন যারা

টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ নির্বিঘ্নে জিতলো টাইগাররা

আপডেট সময় ০৮:৫১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৫৩ রানের টার্গেট মামুলি বানিয়ে ফেলন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ঠান্ডা মাথায় বড় একটা জুটি গড়ে দিয়েছেন তারা। ফলে টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ নির্বিঘ্নে জিতে মাঠ ছেড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে ৭ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় টাইগাররা।

মূলত টাইগারদের ওপেনিং জুটির কাছেই হেরে গেছে আফ্রিকানরা। সৌম্য আর নাঈম মিলে ১৩.১ ওভারে এনে দেন ১০২ রান।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকলেও খেলা হয়নি নাঈম শেখের। তবে টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন দু’জনই।

ইনজুরির কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় নিয়মিত ওপেনার লিটন দাসও নামেননি। ফলে ওপেন করতে নামেন সৌম্য ও নাঈম।

শুরুতে কিছুটা ধীরস্থির থাকলেও, সময় গড়াতেই খোলস ছেড়ে বের হন তারা। শুরু করেন জিম্বাবুয়ের বোলারদের আক্রমন। এরইমধ্যে দু’জন মিলে দলকে সেঞ্চুরি জুটি উপহার দিয়েছেন। ফিফটি তুলে নিয়েছেন সৌম্য সরকার।

তবে ফিফটি করার পরপরই রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য। ৪৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে তিনি করেন ৫০ রান।

৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রানআউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনিও। তার সংগ্রহ ১৫ রান।

অন্যপ্রান্তে অবিচল নাঈম শেখ। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ততক্ষণে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ৬৬ রান (৫১ বল)। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৬ রান (৮ বল) করে।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৫৩ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় জিম্বাবুয়ে। দুর্দান্ত শুরুর পরও, টাইগার বোলারদের তোপের মুখে ১৫২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানে ওপেনার মারুমানিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে ২য় উইকেটে মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৪ রান যোগ করেন মাধভেরে ও রেজিস চাকাভা।

মাধভেরেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত খেলতে থাকা চাকাভা কিছুক্ষণ পরই রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৪৩ রান।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ডিয়ন মেয়ার্স খেলেন ২২ বলে ৩৫ রানের একটি ইনিংস। কিন্তু অন্যরা একের পর এক ফেরার মিছিলে যোগ দেন। ফলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা দেখালেও, ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ নেন ৩টি উইকেট। সাইফউদ্দিন ও শরিফুল নেন ২টি করে উইকেট।