জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিনজিরাম, দশানী নদীর ভাঙন রোধে জরুরিভিত্তিতে স্থায়ীভাবে নদী শাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরে উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের পোল্লাকান্দি মধ্যপাড়া নদী ভাঙন কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জনগণ ব্যানারে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন কবলিত স্থানে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জান াগেছে, চলতি বন্যা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের পোল্লাকান্দি মধ্যপাড়া, ফারাজীপাড়া বাহাদুরাবাদ, ঝালোরচর, সরদারপাড়া এই পাঁচটি গ্রামসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি, ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে পোল্লাকান্দি মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঝালোরচর বাজারসহ শত শত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। নদীভাঙা পরিবারগুলো বসতভিটা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে মানববন্ধনে স্থানীয়রা জরুরিভিত্তিতে বাঁধ নির্মাণসহ স্থায়ী নদী শাসনের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বাহাদুরাবাদ ইউপির সাবেক সদস্য আহাম্মদ আলী আকালু বলেন, নদী ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় কয়েক দিনে পোল্লাকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের শতাধিক বাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
সরদারপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, দফাদার নদীঘাট থেকে ফারাজীপাড়া প্রায় চার কিলোমিটার জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীভাঙনে পরিবারগুলো ভিটেমাটি হারিয়ে অনেকে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে গেছেন। হুমকির মুখে রয়েছে মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আংশিক বসতবাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এখন পর্যন্ত কোন স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
পোল্লাকান্দি গ্রামের মুছা আলম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে নদীভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নেয়া হলে ফারাজীপাড়া ও সরদারপাড়া গ্রাম দুটি ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
শিক্ষক মাহামুদুল নবী উজ্জল বলেন, উপজেলা রক্ষার্থে নদীভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, জেলে, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনগণ অংশ নেন।
এদিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান জানান, আমি নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প প্ল্যানিং কমিশনে পাঠাব। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।