ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরের নবনিযুক্ত জেলা কালচারাল অফিসার তমাল বোস জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগে হামলার প্রতিবাদে ২৬ অক্টোবর শেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত ধীনের শীষে ভোট দিলে ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে : শামীম তালুকদার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড সম্মাননা পেলেন বকশীগঞ্জ ইউএনও শাহ জহুরুল মাদারগঞ্জে বিএনপির মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা “আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজের সবার রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে” শেরপুরে জামায়াতের উপর বিএনপির হামলার অভিযোগ, আহত ২০, অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি বিএনপির বিনন্দেরপাড়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মোল্লাপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব মহেশপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন নান্দিনা তারুণ্য উদ্যমী সংঘ স্পোর্টিং ক্লাব

সরিষাবাড়ীতে ধান ক্ষেতের সাথে শত্রুতা

সরিষাবাড়ী : আগাছানাশক দিয়ে ধান ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ায় খুবই চিন্তিত ভুক্তভোগী কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের মা ও কৃষক হামিদ মিয়া। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের দুই বিঘা জমির ধান বিষাক্ত ক্ষতিকর আগাছানাশক প্রয়োগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কৃষক বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার জিয়াউর হকের ছেলে আল আমিন, শওকত আলীর ছেলে নাছিম, বিলাত আলীর ছেলে শওকত আলী, শওকত আলীর ছেলে নাজমুল, হাবিবুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন, মৃত ইব্রাহীম মন্ডলের ছেলে নুর ইসলাম, মৃত আয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল সাত্তার ও মৃত ফরজ আলীর ছেলে আব্দুল জলিল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় শওকত আলীর ছেলে আল আমীন ও ইছাহাক ফকিরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আবাদি জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। বিরোধপূর্ণ দু্ই বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেন কৃষক জাহাঙ্গীর আলম। হঠাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার ভোরে আগাছানাশক প্রয়োগ করে ধানের গোছালি পুড়িয়ে দিয়েছে আল আমিন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় আল আমিনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর আলম।

সরজমিনে ২৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় পুড়ে যাওয়া ধান ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, আমণ ধানের গোছার উপর পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে। ধানের পাতাগুলো মরে গেছে। আর ধান ক্ষেতের আইলে বসে পুড়ে যাওয়া গোছার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি মুচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাহাঙ্গীল আলম।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, চলতি আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করি। ধানের গোছাগুলো দ্রুতই বাড়ছিল। শত্রুতার জেরে আগাছানাশক প্রয়োগ করে ধানের গোছা গুলো পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয় এলাকাবাসী হানিফ মিয়া বলেন, ঘটনাটি বড়ই দুঃখজনক। এটা তারা অন্যায় করেছে। জমির বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও অন্যায়ভাবে প্রতিপক্ষ এমন ক্ষতি করল। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিপক্ষ আল আমিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান রাশেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরের নবনিযুক্ত জেলা কালচারাল অফিসার তমাল বোস

সরিষাবাড়ীতে ধান ক্ষেতের সাথে শত্রুতা

আপডেট সময় ১১:০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের দুই বিঘা জমির ধান বিষাক্ত ক্ষতিকর আগাছানাশক প্রয়োগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কৃষক বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার জিয়াউর হকের ছেলে আল আমিন, শওকত আলীর ছেলে নাছিম, বিলাত আলীর ছেলে শওকত আলী, শওকত আলীর ছেলে নাজমুল, হাবিবুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন, মৃত ইব্রাহীম মন্ডলের ছেলে নুর ইসলাম, মৃত আয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল সাত্তার ও মৃত ফরজ আলীর ছেলে আব্দুল জলিল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় শওকত আলীর ছেলে আল আমীন ও ইছাহাক ফকিরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আবাদি জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। বিরোধপূর্ণ দু্ই বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেন কৃষক জাহাঙ্গীর আলম। হঠাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার ভোরে আগাছানাশক প্রয়োগ করে ধানের গোছালি পুড়িয়ে দিয়েছে আল আমিন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় আল আমিনকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন জাহাঙ্গীর আলম।

সরজমিনে ২৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকায় পুড়ে যাওয়া ধান ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, আমণ ধানের গোছার উপর পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে। ধানের পাতাগুলো মরে গেছে। আর ধান ক্ষেতের আইলে বসে পুড়ে যাওয়া গোছার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি মুচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাহাঙ্গীল আলম।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, চলতি আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করি। ধানের গোছাগুলো দ্রুতই বাড়ছিল। শত্রুতার জেরে আগাছানাশক প্রয়োগ করে ধানের গোছা গুলো পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয় এলাকাবাসী হানিফ মিয়া বলেন, ঘটনাটি বড়ই দুঃখজনক। এটা তারা অন্যায় করেছে। জমির বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও অন্যায়ভাবে প্রতিপক্ষ এমন ক্ষতি করল। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিপক্ষ আল আমিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান রাশেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।