ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ তহবিল চালু ঝিনাইগাতীতে পানিতে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার অধিকার রক্ষায় শেরপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত জামালপুরে বিদ্যুৎ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে ওয়ারেছ আলী মামুন সংবর্ধিত নদী ভাঙনের কবল থেকে মসজিদ ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে বকশীগঞ্জে মানববন্ধন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি সভা করেছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জামাল পাশা, শাহেদ আলী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ব্যস্ততা চলছে মাদারগঞ্জের প্রতিমাশিল্পীদের, ২৭ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি দেওয়ানগঞ্জে উপহারের বেশির ভাগ ঘরের দরজায় ঝুলছে তালা

আশ্বাস মিললেও অসহায় আনোয়ারার জোটেনি সরকারি সহায়তা ভাতার কার্ড

মাদারগঞ্জ : অসহায় বৃদ্ধা আনোয়ারা চান সরকারি সহায়তা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়িভিটাও বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। এরপর থেকে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা। বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন তিনি।

চিকিৎসা দূরের কথা, তিনবেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। বেঁচে থেকেও আজ মৃতের শামিল তিনি। জীবনের শেষ সময়ে একটু স্বচ্ছলতার আশায় বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধর্ণা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও এখনও জোটেনি কোন কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার মৃত আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা। প্রায় ৪২ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। রেখে যান শুধু বাড়িভিটা ও একটি কন্যা সন্তান। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে কোনরকমে সংসার চালান আনোয়ারা। এরপর বাড়িভিটা বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকায়। মেয়ের বিয়ের পর বিধবা আনোয়ারা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করেন।

১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যান। মেয়ের জামাই অন্যত্র বিয়ে করায় আনোয়ারা একা হয় পড়েন। এরপর থেকে আনোয়ারা অন্যের বাসা-বাড়িতে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখন তিনি আর তেমন কাজ করতে পারছেন না। প্রতিবেশীরা যা খাবার দেয়, তা খেয়েই কোনরকমে দিনপাত করছেন।

অসহায় আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক এ প্রতিবেদককে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সাথে মোবাইল নাম্বার না থাকায় ভাতা পাননি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ তহবিল চালু

আশ্বাস মিললেও অসহায় আনোয়ারার জোটেনি সরকারি সহায়তা ভাতার কার্ড

আপডেট সময় ০৮:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

৪২ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা আনোয়ারা। স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ সম্বল বাড়িভিটাও বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। ১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যায়। এরপর থেকে অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে দিন পার করছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ ৭৮ বছরের বৃদ্ধা আনোয়ারা। বার্ধক্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন তিনি।

চিকিৎসা দূরের কথা, তিনবেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর। বেঁচে থেকেও আজ মৃতের শামিল তিনি। জীবনের শেষ সময়ে একটু স্বচ্ছলতার আশায় বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধর্ণা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও এখনও জোটেনি কোন কার্ড।

আনোয়ারা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকার বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স প্রায় ৭৮ বছর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২ বছর এবং পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী আনোয়ারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও দীর্ঘদিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ পৌরসভার কামারপাড়া এলাকার মৃত আহজ্জলের স্ত্রী আনোয়ারা। প্রায় ৪২ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। রেখে যান শুধু বাড়িভিটা ও একটি কন্যা সন্তান। অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করে কোনরকমে সংসার চালান আনোয়ারা। এরপর বাড়িভিটা বিক্রি করে একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বীর পাকেরদহ এলাকায়। মেয়ের বিয়ের পর বিধবা আনোয়ারা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করেন।

১৯ বছর আগে সেই মেয়েও মারা যান। মেয়ের জামাই অন্যত্র বিয়ে করায় আনোয়ারা একা হয় পড়েন। এরপর থেকে আনোয়ারা অন্যের বাসা-বাড়িতে থেকে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এখন তিনি আর তেমন কাজ করতে পারছেন না। প্রতিবেশীরা যা খাবার দেয়, তা খেয়েই কোনরকমে দিনপাত করছেন।

অসহায় আনোয়ারা বলেন, স্বামী, সন্তান, জায়গাজমি কিছুই নাই। এইহানে অন্যের বাড়িতে থাকি। মাইনষে আমারে খাওন-দাওন দেয়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেইক্যা খুব কষ্টে আছি। অ্যাকটা ভাতার কার্ড পাইলে খুব উপকার হইতো।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চরপাকেরদহ ইউনিয়নের প্রশাসক তৌফিকুল ইসলাম খালেক এ প্রতিবেদককে বলেন, বৃদ্ধা আনোয়ারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের সাথে মোবাইল নাম্বার না থাকায় ভাতা পাননি। দ্রুত তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।