জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আজ (২৭ জুলাই) রোগী ভর্তি ৮০০ জন। আউটডোরে রোগী সংখ্যা দেড় হাজার। একজন রোগীর সাথে একাধিক স্বজন আসে। এককথায় লোকে লোকারণ্য। তিল ধারণের ঠাঁই নাই। এতে ডাক্তার নার্সের উপর অতিমাত্রায় চাপের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিও লোড নিতে পারছে না। আউটডোর ভবনটি গত পাঁচ বছর আগে গণপূর্ত বিভাগ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। ঝুঁকি নিয়েই সেবা কার্যক্রম চলছে।
বর্তমানে হাসপাতালে জনবল ২৫০ শয্যার বরাদ্দের চেয়েও কম। সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এটাই বাস্তবতা। ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলে সেবার মান উন্নত হবে বলে বিশ্বাস করি। আমরা হরহামেশা সমালোচনা করি। ভুক্তভোগী রোগীদের বোঝার কথা নয় হাসপাতালের সীমাবদ্ধতার কথা। তবে কিছু কিছু ডাক্তার নার্সের নেতিবাচক ব্যবহারে অনেকেই বিরুপ মন্তব্য করেন। একটু ভালো ব্যবহার করলে রোগীরা সন্তুষ্ট হয়।
আট বছর হয়ে গেছে মেডিকেল কলেজের কাজ চলছে। ভবন নির্মাণও শেষ অনেক আগেই। অধিদপ্তর আর মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলিতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা যাচ্ছে না। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে সাধারণ রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছেই। এতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের চাপ বাড়ছেই। হাসপাতালের ভেতরেও আবার নানা ধরনের রাজনীতি চলে। কর্মচারীদের মধ্যে কোন্দল। দালাল বাটপারদের দৌরাত্ম্য। সব মিলিয়ে হজবরল অবস্থা।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনাগত এবং চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নে সকল স্টেক হোল্ডারদের সাথে বসে নিবিড় পরিকল্পনা করা উচিৎ। এর জন্য সাধারণ মানুষের পরামর্শও দরকার। নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক সমালোচনা ও মন্তব্য আশা করছি। যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনার মন্তব্য দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা পায়। হাসপাতাল জনগণের সম্পদ। এর উন্নয়নে আমরা নানাভাবে অবদান রাখতে পারি।
সম্পাদক : জাহাঙ্গীর সেলিম, বাংলারচিঠিডটকম
সম্পাদক : জাহাঙ্গীর সেলিম, বাংলারচিঠিডটকম 
























