ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাহমুদপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : বকশীগঞ্জে এনসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : জামালপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল মাদারগঞ্জে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে

জামালপুরে তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা শুরু

জামালপুর : ফলমেলায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু হয়েছে। ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই, প্রতিপাদ্যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ ফলমেলা। ফলের গুরুত্ব ও উপকারিতা বিষয়ে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেলায় চলবে নানা জাতের দেশীয় ফল প্রদর্শনী, ফলগাছের চারা বিপণন ও বিতরণ কার্যক্রম।

১৯ জুন, বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুর পৌর শহরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে এ ফলমেলা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথভাবে এ ফলমেলার আয়োজন করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ও সদর উপজেলা কৃষি অফিস।

ফলমেলায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে অবহিতকরণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত হতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে রোপা-আমন বীজ ও সার, নারিকেলের চারা, লেবুর চারা, তালের চারা, হাইব্রিড মরিচ বীজ, গ্রীষ্মকালীন সবজি বীজ, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য এয়ারফ্লো মেশিন বিতরণেরও উদ্বোধন করা হয়।

ফলমেলায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।

জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ফলমেলার আয়োজন জনমানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনা বৃদ্ধি ও দেশীয় ফলের প্রতি আকৃষ্ট করার সুন্দর এক কার্যক্রম। মেলায় বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়ায় উপকৃত হবেন কৃষকেরা। এছাড়া কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমও একটি ইতিবাচক মাধ্যম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা এখানে এসেছি কোন ফল খেলে আমার দাঁত ভাল থাকবে। কোন ফল খেলে আমার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, সে-সকল বিষয়ের উপর জানার জন্য। তাই সবাই মনোযোগ সহকারে শুনবেন এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) দিলরুবা ইয়াছমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ ন ম আশরাফুল কবীর প্রমুখ।

জামালপুর : ফলমেলায় নারিকেল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আয়োজক সূত্র জানায়, এ মৌসুমে ৮ ধরনের কৃষি প্রণোদনা উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতি কৃষককে উচ্চ ফলনশীল জাতের পাঁচ কেজি করে বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হবে। সদর উপজেলায় তিন হাজার ৯০০ কৃষককে পর্যায়ক্রমে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে। গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড মরিচের বীজ ৫০০ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়া ৪০০ তালের ও নারিকেল গাছের চারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, জেলায় বিভিন্ন নার্সারিতে দুই হাজার ৫০টি ইউক্যালিপটাস গাছের চারা রয়েছে। সেগুলো ধ্বংস করে নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রতিটি চারা চার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির বীজ ৫০০ কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ১১টি এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হবে।

মেলায় পাঁচটি স্টল স্থান পেয়েছে। স্টলগুলো হলো- বিভিন্ন ধরনের চারা-কলম, জৈব কৃষি, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, কৃষি তথ্য ও পরামর্শ এবং বিভিন্ন ধরনের ফল প্রদর্শনী।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

জামালপুরে তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফলমেলা শুরু

আপডেট সময় ১০:৪০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

জামালপুরে তিনদিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু হয়েছে। ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই, প্রতিপাদ্যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এ ফলমেলা। ফলের গুরুত্ব ও উপকারিতা বিষয়ে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেলায় চলবে নানা জাতের দেশীয় ফল প্রদর্শনী, ফলগাছের চারা বিপণন ও বিতরণ কার্যক্রম।

১৯ জুন, বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুর পৌর শহরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে এ ফলমেলা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথভাবে এ ফলমেলার আয়োজন করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি ও সদর উপজেলা কৃষি অফিস।

ফলমেলায় কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে অবহিতকরণ সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত হতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলায় কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে রোপা-আমন বীজ ও সার, নারিকেলের চারা, লেবুর চারা, তালের চারা, হাইব্রিড মরিচ বীজ, গ্রীষ্মকালীন সবজি বীজ, পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য এয়ারফ্লো মেশিন বিতরণেরও উদ্বোধন করা হয়।

ফলমেলায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।

জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ফলমেলার আয়োজন জনমানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনা বৃদ্ধি ও দেশীয় ফলের প্রতি আকৃষ্ট করার সুন্দর এক কার্যক্রম। মেলায় বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়ায় উপকৃত হবেন কৃষকেরা। এছাড়া কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমও একটি ইতিবাচক মাধ্যম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা এখানে এসেছি কোন ফল খেলে আমার দাঁত ভাল থাকবে। কোন ফল খেলে আমার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, সে-সকল বিষয়ের উপর জানার জন্য। তাই সবাই মনোযোগ সহকারে শুনবেন এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) দিলরুবা ইয়াছমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিন্নাত শহীদ পিংকি, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আ ন ম আশরাফুল কবীর প্রমুখ।

জামালপুর : ফলমেলায় নারিকেল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আয়োজক সূত্র জানায়, এ মৌসুমে ৮ ধরনের কৃষি প্রণোদনা উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতি কৃষককে উচ্চ ফলনশীল জাতের পাঁচ কেজি করে বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হবে। সদর উপজেলায় তিন হাজার ৯০০ কৃষককে পর্যায়ক্রমে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে। গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড মরিচের বীজ ৫০০ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়া ৪০০ তালের ও নারিকেল গাছের চারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, জেলায় বিভিন্ন নার্সারিতে দুই হাজার ৫০টি ইউক্যালিপটাস গাছের চারা রয়েছে। সেগুলো ধ্বংস করে নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রতিটি চারা চার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির বীজ ৫০০ কৃষকের মধ্যে বিতরণ করা হবে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য ১১টি এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণ করা হবে।

মেলায় পাঁচটি স্টল স্থান পেয়েছে। স্টলগুলো হলো- বিভিন্ন ধরনের চারা-কলম, জৈব কৃষি, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, কৃষি তথ্য ও পরামর্শ এবং বিভিন্ন ধরনের ফল প্রদর্শনী।