জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। ওই হামলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৬ জন আহত হয়েছে। হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে ২১ এপ্রিল সোমবার দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন করেন নিলাখিয়া ইউনিয়নের জানকিপুর ফকিরপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লুৎফর রহমান বলেন, আমাদের সাড়ে ২৩ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে জানকিপুর দিকপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান সাদা, মনিরুজ্জামান মনি, মিনহাজুল ইসলাম মিঠু ও তাদের লোকজনদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে।
২০ এপ্রিল রবিবার বেলা ১১টার দিকে আজিজুর রহমান সাদার ছেলে মাহমুদুল হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন জানকিপুর বিনোদরচর বাজার সংলগ্ন ওই জমি জোরপূর্বক দখল করতে আসে।
এসময় আমার ভাই শহিদুর রহমান (৭০) তাদের বাধা দিলে তাকে এলোপাতারী মারধর করেন তারা।
খবর পেয়ে আমার ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় মাহমুদুল হাসান ও মনির লোকজন। তাদের হামলায় বড় ভাই শহিদুর রহমান (৭০), আবদুল মতিন (৫০), আমিনুল ইসলাম (৪৮), সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) ও স্কুল শিক্ষার্থী মাহবুবা আক্তার (১৬) আহত হয়। এসময় তারা সুলতান মিয়ার চায়ের দোকান ভাঙচুর চালায়।
লুৎফর রহমান আরও বলেন, বিরোধপূর্ণ ওই জমির মামলায় আমরা তিনটি ডিক্রি লাভ করেছি। ওই জমির প্রকৃত মালিক আমরা কিন্তু তারা জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করছেন।
আমাদের ওপর নির্দয়ভাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শহিদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় হামলার বিচার চেয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান জানান, ওই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে চারটি ডিক্রি দিয়েছেন। বিবাদীরা যেন ওই জমিতে যেতে না পারে এব্যাপারে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আমরা আমাদের জমিতে গেলে উল্টো আমাদের মারধর করেছে। তাদের ওপর হামলার ঘটনাটি সঠিক নয়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, লিখিত আবেদন পেয়েছি, এঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।