ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার পর হত্যার হুমকির অভিযোগ রুমন সরকারের

জামালপুর : সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী রুমন সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বাবার সারের ডিলারশিপ পেতে স্বাক্ষর না দেওয়ায় বড় ভাইযের হাত ভেঙে দিয়েছে ছোট ভাই। থেতলে দেওয়া হয়েছে পা। টানা ২৪ দিন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী রুমন সরকার। ১৩ এপ্রিল রবিবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব জামালপুর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রুমন সরকার বলেন, আমার বাবা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেঁচিয়াবাঁধা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলী সরকার গত বছর মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর তার নামে বিসিআইসির সারের ডিলারশিপসহ অন্যান্য ব্যবসা এককভাবে ভোগদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন আামার বড় ভাই রুমেল সরকার। দীর্ঘদিন বাবার সকল ব্যবসায় আমার কোন অধিকার থাকবে না মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন।

এ ঘটনার জের ধরে ১৮ মার্চ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আমাকে বড় ভাই রুমেল সরকারের নির্দেশে ছোট ভাই রাজিক রানা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। আমার পায়ের হাঁড়ও ভেঙে গেছে। মারপিটের একপর্যায়ে আমাকে খুন ও ঘুম করার চেষ্টা করে। আমি ৯৯৯ লাইনে ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে তারা প্রথমে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

রুমন সরকার বলেন, চিকিৎসকেরা আমার অবস্থার অবনতি দেখে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই টানা ২৪ দিন হাসপাতালের বেডে পড়ে ছিলাম। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছি না। ঘটনার দিন পুলিশ আমার উপর হামলাকারী ছোট রাজিক রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আমার পরিবারের লোকজন আপাতত মীমাংসার কথা বলে থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে আবারও আমাকে মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমার দুই ভাই আমাকে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমার ধারণা আমাকে তারা হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে। আমি আমার এবং আমার স্ত্রী সন্তানের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজিক রানা বলেন, আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে বাবার সম্পদ ভোগ করার অপচেষ্টা করছে। আমি তো বাবার কোথায় কি আছে জানিই না। আমি রাজধানীতে পড়াশোনা করেছি। চাকরি করার ইচ্ছা ছিল। সে আমাকে চাকরি করতে দেয়নি। বিদেশে যাবার জন্য তার কাছে দুই লাখ টাকা রেখেছিলাম। যখন আমার যাবার সবকিছু ঠিকঠাক তখন টাকাটা দেয়নি। দুঃখকষ্টে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। ঘটনার দিন আমার সাথে কথা কাটাকাটি ধাক্কাধাকি হয়েছে। তার অভিযোগ মিথ্যা ও নিজের মনগড়া।

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার পর হত্যার হুমকির অভিযোগ রুমন সরকারের

আপডেট সময় ০৬:৪১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

বাবার সারের ডিলারশিপ পেতে স্বাক্ষর না দেওয়ায় বড় ভাইযের হাত ভেঙে দিয়েছে ছোট ভাই। থেতলে দেওয়া হয়েছে পা। টানা ২৪ দিন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী রুমন সরকার। ১৩ এপ্রিল রবিবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব জামালপুর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রুমন সরকার বলেন, আমার বাবা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেঁচিয়াবাঁধা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলী সরকার গত বছর মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর তার নামে বিসিআইসির সারের ডিলারশিপসহ অন্যান্য ব্যবসা এককভাবে ভোগদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেন আামার বড় ভাই রুমেল সরকার। দীর্ঘদিন বাবার সকল ব্যবসায় আমার কোন অধিকার থাকবে না মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন।

এ ঘটনার জের ধরে ১৮ মার্চ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আমাকে বড় ভাই রুমেল সরকারের নির্দেশে ছোট ভাই রাজিক রানা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। আমার পায়ের হাঁড়ও ভেঙে গেছে। মারপিটের একপর্যায়ে আমাকে খুন ও ঘুম করার চেষ্টা করে। আমি ৯৯৯ লাইনে ফোন করলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে তারা প্রথমে সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

রুমন সরকার বলেন, চিকিৎসকেরা আমার অবস্থার অবনতি দেখে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই টানা ২৪ দিন হাসপাতালের বেডে পড়ে ছিলাম। অর্থের অভাবে চিকিৎসা নিতে পারছি না। ঘটনার দিন পুলিশ আমার উপর হামলাকারী ছোট রাজিক রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আমার পরিবারের লোকজন আপাতত মীমাংসার কথা বলে থানায় মুচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে আবারও আমাকে মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বর্তমানে স্ত্রী সন্তান নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমার দুই ভাই আমাকে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমার ধারণা আমাকে তারা হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে। আমি আমার এবং আমার স্ত্রী সন্তানের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজিক রানা বলেন, আমার বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়ে বাবার সম্পদ ভোগ করার অপচেষ্টা করছে। আমি তো বাবার কোথায় কি আছে জানিই না। আমি রাজধানীতে পড়াশোনা করেছি। চাকরি করার ইচ্ছা ছিল। সে আমাকে চাকরি করতে দেয়নি। বিদেশে যাবার জন্য তার কাছে দুই লাখ টাকা রেখেছিলাম। যখন আমার যাবার সবকিছু ঠিকঠাক তখন টাকাটা দেয়নি। দুঃখকষ্টে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। ঘটনার দিন আমার সাথে কথা কাটাকাটি ধাক্কাধাকি হয়েছে। তার অভিযোগ মিথ্যা ও নিজের মনগড়া।