ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুর : গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. রাজীব-উল-আহসান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায়ে প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ ভি সি বি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, মালিঝিকান্দা ও গড়জরিপা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা যথাক্রমে মো. আনোয়ার হোসেন, এমারুল জাহিদ প্রমুখ।

প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত জেলায় গ্রাম আদালতে মোট ৯১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৮৭৭টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয় এবং জমির ক্ষেত্রে আনুমানিক মূল্যসহ ২ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই গ্রাম আদালত পরিপূর্ণরূপে চালু করতে সবাইকে কাজ করতে হবে সমানভাবে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে। অনেক জনপ্রতিনিধিই মনে হয় যেটা, গ্রাম আদালতের চেয়ে সালিশ করতে বেশি পছন্দ করেন। সালিশ হয়তো করবেন, সালিশ করতে তো আর কোথাও মানা করা হয়নি। কিন্তু আইনগত কাঠামো দেওয়ার জন্য, আইনগতভাবে আগানোর জন্য এই গ্রাম আদালতের কোনো বিকল্প নাই। তাই এটি যেন গুরুত্ব দিয়ে করেন। যেহেতু আজ এখানে কোন জন প্রতিনিধি নেই। তাই উপস্থিত আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভ্যাস করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে তার নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি একটি আদালত। জজ কোর্ট এবং এই কোর্টের (গ্রাম আদালত) মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কোর্ট কোর্টই এবং এ রায়টা বাধ্যকর। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কিন্তু বড় একটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটি একটা সম্মানের বিষয়ও। সবাইকে এই গ্রাম আদালতের প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

সমন্বয় সভা  সঞ্চালনা করেন  স্থানীয় সরকার শাখা, শেরপুরের সহকারী পরিচালক মোছা. আছমা আক্তার। সভায় শেরপুর সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলার ৫২ ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা

শেরপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৯:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শেরপুরে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. রাজীব-উল-আহসান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায়ে প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ ভি সি বি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, মালিঝিকান্দা ও গড়জরিপা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা যথাক্রমে মো. আনোয়ার হোসেন, এমারুল জাহিদ প্রমুখ।

প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত জেলায় গ্রাম আদালতে মোট ৯১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৮৭৭টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয় এবং জমির ক্ষেত্রে আনুমানিক মূল্যসহ ২ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, এই গ্রাম আদালত পরিপূর্ণরূপে চালু করতে সবাইকে কাজ করতে হবে সমানভাবে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে। অনেক জনপ্রতিনিধিই মনে হয় যেটা, গ্রাম আদালতের চেয়ে সালিশ করতে বেশি পছন্দ করেন। সালিশ হয়তো করবেন, সালিশ করতে তো আর কোথাও মানা করা হয়নি। কিন্তু আইনগত কাঠামো দেওয়ার জন্য, আইনগতভাবে আগানোর জন্য এই গ্রাম আদালতের কোনো বিকল্প নাই। তাই এটি যেন গুরুত্ব দিয়ে করেন। যেহেতু আজ এখানে কোন জন প্রতিনিধি নেই। তাই উপস্থিত আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অভ্যাস করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে তার নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি একটি আদালত। জজ কোর্ট এবং এই কোর্টের (গ্রাম আদালত) মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কোর্ট কোর্টই এবং এ রায়টা বাধ্যকর। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কিন্তু বড় একটা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটি একটা সম্মানের বিষয়ও। সবাইকে এই গ্রাম আদালতের প্রতি আস্থা রাখতে হবে এবং সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

সমন্বয় সভা  সঞ্চালনা করেন  স্থানীয় সরকার শাখা, শেরপুরের সহকারী পরিচালক মোছা. আছমা আক্তার। সভায় শেরপুর সদর, নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলার ৫২ ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।