ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

অপরাজেয় বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত

বক্তব্য রাখেন শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম। ছবি : বাংলারচিটিডটকম

অপরাজেয় বাংলাদেশের সিবিসিপিসি কর্মসূচির আওতায় ২৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে জামালপুর শহরের স্টার কাবাব রেস্টেুরেন্টে দাতা সংস্থা ফ্রিডম ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশের বাস্তবায়নে শিশুর যৌন পাঁচার প্রতিরোধ প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সভাপতি উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্রের সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার, জামালপুর এফপিএবি’র জেলা সমন্বয়ক মাহিনূর সিদ্দিকা হ্যাপী, অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলারচিঠিডটক এর নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মনজু, প্রকল্পের সমাজকর্মী আব্দুল মোতালেব বাদল, হাউজ টিচার মনিজা খাতুন, কাউন্সেলর মুসলিতা জান্নাত মিলি প্রমুখ।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় বক্তারা বলেন, অবহেলিত ও অভিভাবকহীন অসহায় শিশুদের জন্য নির্ভরশীলতা ও ভরসার জায়গা তৈরি করতে হবে। তাদেরকে ঝুঁকিমুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই সম্ভব তাদেরকে সর্বোত্তম নিরাপত্তা দেওয়া। সেই দিক থেকে অপরাজেয় বাংলাদেশ সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। পরিবারের আপনজন থেকে শুরু করে সর্বত্রই শিশুরা বিশেষ করে মেয়ে শিশুরাই বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিশুরা শারীরিক, মানসিক, যৌনতা ও অবহেলার কারণে নির্যাতনের শিকার হয়। বক্তারা আরও বলেন, দেশে আইন আছে। কিন্তু কার্যকারিতা নেই। তাই সুশীল সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে যে যে অবস্থানে থাকি না কেন শিশুর যৌন নির্যাতন ও পাচার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।

বক্তব্য রাখেন এফপিএবির জেলা সমন্বয়ক মাহিনূর সিদ্দিকা হ্যাপী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সভায় অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মো, আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১৮ বছরের নিচে মেয়ে ও ছেলে শিশুদের পাচার ও যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যৌন নির্যাতন ও পাচারের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের খোঁজে বের করে মাঠপর্যায়ে তাদের অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করা হয়। অভিভাবক না থাকলে কিংবা অভিভাবকেরা চাইলে তাদেরকে অপরাজেয় বাংলাদেশের শেল্টার হোমে এনে কাউন্সেলিং করা হয়। সেখানে খাবার ও থাকার নিশ্চয়তাসহ একাডেমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে শিশুর সুরক্ষার জন্য নৈতিক সবরকম ব্যবস্থা আছে। পরে তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাস্তা থেকে আনা শিশুরা শেল্টার হোমে এসে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। তাদের পরিবার না থাকলে তাদের রক্তের সম্পর্ক খোঁজে বের করা হয়। যাতে তারা ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ থাকতে পারে। তিনি শিশুদের যৌন নির্যাতন ও পাঁচারের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে শিশু সুরক্ষা গ্রুপসহ সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের সচেতন ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় সুধীজন, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ অংশ নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা

অপরাজেয় বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৫:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

অপরাজেয় বাংলাদেশের সিবিসিপিসি কর্মসূচির আওতায় ২৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকালে জামালপুর শহরের স্টার কাবাব রেস্টেুরেন্টে দাতা সংস্থা ফ্রিডম ফান্ডের আর্থিক সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশের বাস্তবায়নে শিশুর যৌন পাঁচার প্রতিরোধ প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সভাপতি উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় বক্তব্য রাখেন শিশু সুরক্ষা গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্রের সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার, জামালপুর এফপিএবি’র জেলা সমন্বয়ক মাহিনূর সিদ্দিকা হ্যাপী, অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলারচিঠিডটক এর নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মনজু, প্রকল্পের সমাজকর্মী আব্দুল মোতালেব বাদল, হাউজ টিচার মনিজা খাতুন, কাউন্সেলর মুসলিতা জান্নাত মিলি প্রমুখ।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় বক্তারা বলেন, অবহেলিত ও অভিভাবকহীন অসহায় শিশুদের জন্য নির্ভরশীলতা ও ভরসার জায়গা তৈরি করতে হবে। তাদেরকে ঝুঁকিমুক্ত করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই সম্ভব তাদেরকে সর্বোত্তম নিরাপত্তা দেওয়া। সেই দিক থেকে অপরাজেয় বাংলাদেশ সেই কাজটিই করে যাচ্ছে। পরিবারের আপনজন থেকে শুরু করে সর্বত্রই শিশুরা বিশেষ করে মেয়ে শিশুরাই বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিশুরা শারীরিক, মানসিক, যৌনতা ও অবহেলার কারণে নির্যাতনের শিকার হয়। বক্তারা আরও বলেন, দেশে আইন আছে। কিন্তু কার্যকারিতা নেই। তাই সুশীল সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে যে যে অবস্থানে থাকি না কেন শিশুর যৌন নির্যাতন ও পাচার রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে।

বক্তব্য রাখেন এফপিএবির জেলা সমন্বয়ক মাহিনূর সিদ্দিকা হ্যাপী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সভায় অপরাজেয় বাংলাদেশের জামালপুর কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মো, আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১৮ বছরের নিচে মেয়ে ও ছেলে শিশুদের পাচার ও যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যৌন নির্যাতন ও পাচারের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের খোঁজে বের করে মাঠপর্যায়ে তাদের অভিভাবকদের সাথে বৈঠক করা হয়। অভিভাবক না থাকলে কিংবা অভিভাবকেরা চাইলে তাদেরকে অপরাজেয় বাংলাদেশের শেল্টার হোমে এনে কাউন্সেলিং করা হয়। সেখানে খাবার ও থাকার নিশ্চয়তাসহ একাডেমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে শিশুর সুরক্ষার জন্য নৈতিক সবরকম ব্যবস্থা আছে। পরে তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। রাস্তা থেকে আনা শিশুরা শেল্টার হোমে এসে নিজেকে নিরাপদ মনে করে। তাদের পরিবার না থাকলে তাদের রক্তের সম্পর্ক খোঁজে বের করা হয়। যাতে তারা ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ থাকতে পারে। তিনি শিশুদের যৌন নির্যাতন ও পাঁচারের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে শিশু সুরক্ষা গ্রুপসহ সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরের সচেতন ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উদ্বুদ্ধকরণ সভায় সুধীজন, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ অংশ নেন।