ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জনগণের অগ্রগতির একমাত্র অবলম্বন বিএনপির ৩১ দফা : এ এস এম আব্দুল হালিম পুশ-ইন বা পুশ-ব্যাক কোনো আইনসম্মত পদ্ধতি নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে কৃষকদলনেতার বিরুদ্ধে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ শেরপুরে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষকদের মানববন্ধন মাদারগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে একমণ ধানের দামেও মিলছে না একজন ধানকাটা শ্রমিক বকশীগঞ্জে আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় সরিষাবাড়ীর ছাত্রদল

জমি জবর দখলকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার

জমি পরিমাপকারী আনোয়ার হোসেন

জমি পরিমাপকারী আনোয়ার হোসেন

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি পরিমাপকারী (আমিন) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি পরিমাপের নামে বিবাদ তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ জমি জবরদখল করাই তার কাজ। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা গ্রামের মৃত আমির আলী মুন্সির ছেলে আনোয়ার হোসেন। তিনি পিংনা ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ৩৫ বছর ধরে জমি পরিমাপকারী (আমিন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসার সুযোগে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে আসছেন। বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে জমির সঠিক পরিমাপ না করে বিরোধ না মিটিয়ে ঝিঁইয়ে রাখেন আনোয়ার। নানা বাহানা সময় ক্ষেপন করে ফায়দা লুটেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, বিরোধকে পুঁজি করে সুযোগ বুঝে ওই বিরোধপূর্ণ জমি নিজের বলে দাবি করে জবরদখল করেন তিনি। জমি জবরদখল করতে নানা ভয়-ভীতি দেখানোসহ জমির মালিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি। এছাড়া জমির মালিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আনোয়ার। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বললে রাতের বেলায় বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ভয় দেখান তিনি। নেশা করাসহ নানা অপকর্ম করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তার কাজ। এসব আচরণের কারণে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ পিংনা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলেও জানান তারা।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে সুজাত আলী বলেন, কাওয়ামারা গ্রামে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৩০ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছেন। ২০২১ সালে আনোয়ার হোসেন ওই জমির ১৩ শতাংশ জমি তার বলে দাবি করেন। পরে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

একই এলাকার আব্দুল আওয়াল অভিযোগ করে বলেন, মাপের মাধ্যমে জমি সাত-পাঁচ করে ঝামেলা লাগানোই আনোয়ারের কাজ। সে ঝামেলা লাগিয়ে দুপক্ষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসবের প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকি দিয়ে আসছে আনোয়ার। এছাড়া রাতের বেলায় বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।

ফরিদ মিয়া, আসাদুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম তুহিন, রফিকুল ইসলামসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আনোয়ার জমি জবরদখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তার কারণে কাওয়ামারা গ্রামের সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূমি পরিমাপকারী (আমিন) আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গরীব মানুষ কখনো জমি জবরদখল করতে পারে না। সমাজের প্রভাবশালীরাই হলো জমি চোর।

পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন তার ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত আমিন। ইতিমধ্যে সে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনগণের অগ্রগতির একমাত্র অবলম্বন বিএনপির ৩১ দফা : এ এস এম আব্দুল হালিম

জমি জবর দখলকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার

আপডেট সময় ০৯:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
জমি পরিমাপকারী আনোয়ার হোসেন

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জমি পরিমাপকারী (আমিন) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি পরিমাপের নামে বিবাদ তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ জমি জবরদখল করাই তার কাজ। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের কাওয়ামারা গ্রামের মৃত আমির আলী মুন্সির ছেলে আনোয়ার হোসেন। তিনি পিংনা ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ৩৫ বছর ধরে জমি পরিমাপকারী (আমিন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসার সুযোগে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি করে আসছেন। বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে জমির সঠিক পরিমাপ না করে বিরোধ না মিটিয়ে ঝিঁইয়ে রাখেন আনোয়ার। নানা বাহানা সময় ক্ষেপন করে ফায়দা লুটেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, বিরোধকে পুঁজি করে সুযোগ বুঝে ওই বিরোধপূর্ণ জমি নিজের বলে দাবি করে জবরদখল করেন তিনি। জমি জবরদখল করতে নানা ভয়-ভীতি দেখানোসহ জমির মালিকদের প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি। এছাড়া জমির মালিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আনোয়ার। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বললে রাতের বেলায় বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুঁড়ে ভয় দেখান তিনি। নেশা করাসহ নানা অপকর্ম করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই তার কাজ। এসব আচরণের কারণে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ পিংনা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলেও জানান তারা।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে সুজাত আলী বলেন, কাওয়ামারা গ্রামে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৩০ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছেন। ২০২১ সালে আনোয়ার হোসেন ওই জমির ১৩ শতাংশ জমি তার বলে দাবি করেন। পরে এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

একই এলাকার আব্দুল আওয়াল অভিযোগ করে বলেন, মাপের মাধ্যমে জমি সাত-পাঁচ করে ঝামেলা লাগানোই আনোয়ারের কাজ। সে ঝামেলা লাগিয়ে দুপক্ষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসবের প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকি দিয়ে আসছে আনোয়ার। এছাড়া রাতের বেলায় বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুড়ে মারে।

ফরিদ মিয়া, আসাদুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম তুহিন, রফিকুল ইসলামসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আনোয়ার জমি জবরদখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তার কারণে কাওয়ামারা গ্রামের সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে তাকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূমি পরিমাপকারী (আমিন) আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গরীব মানুষ কখনো জমি জবরদখল করতে পারে না। সমাজের প্রভাবশালীরাই হলো জমি চোর।

পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার হোসেন তার ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত আমিন। ইতিমধ্যে সে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।