জামালপুরে জরুরি সাড়াদান পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

জামালপুরে জরুরি সাড়াদান পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এসওডি’র আলোকে ‘জরুরি সাড়াদান পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫ জুন সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রামার প্রবীর কুমার দাস।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুর্যোগকালীন বিভিন্ন সমস্যা ও পরিত্রাণের উপায় তুলে ধরে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরান, তুলশীরচর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম প্রমুখ।

প্রশিক্ষণে দুর্যোগকালীন সাড়াদানে যেসব বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়, সেগুলো হলো-

(১) স্থানান্তর, উদ্ধার, মানবিক সহায়তা ও প্রাথমিক পুনর্বাসনসংক্রান্ত কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র (নিয়ন্ত্রণকক্ষ) স্থাপন ও পরিচালনা;

(২) স্থানীয়ভাবে প্রাপ্য সুবিধা ব্যবহার করে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম সমন্বয় ও পরিচালনা এবং অধিক দুর্যোগকবলিত উপজেলা ও পৌরসভায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উদ্ধারকারী দল প্রেরণ;

(৩) ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি মানবিক সহায়তা-কার্যক্রম সমন্বয়সাধন এবং বরাদ্দকৃত মানবিক সহায়তা-সামগ্রীর চাহিদা মোতাবেক বিতরণ তদারকি;

(৪) দুর্যোগকালে নিয়োজিত উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা কর্মীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ;

(৫) দুর্যোগকালে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র, বসতবাড়ি বা অন্য কোনো স্থানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ;

(৬) মৃত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও দ্রুত সৎকার এবং মৃত প্রাণীদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ তদারকি;

(৭) মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার্থে বরাদ্দকৃত অর্থ প্রদান;

(৮) প্রয়োজনে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা তদারকি;

(৯) জনসাধারণকে তাদের মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও দ্রব্যাদি, যেমন: গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, জরুরি খাদ্য, ফসলের বীজ, রেডিও, টর্চলাইট, মোবাইল ফোন ইত্যাদি নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর কার্যক্রম তদারকি ইত্যাদি।

প্রশিক্ষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, উপজেলা প্রশসানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।