জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে : মির্জা আজম এমপি

মেলান্দহের নাংলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা আজম এমপি। ছবি : আলী আকবর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও মেলান্দহ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা আবারো দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইলে আমাদেরকে ১৫১টি আসনে নির্বাচিত হতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। তাই নৌকার বিজয়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।

৩০ মে দুপুরে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নাংলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি এসব কথা বলেন।

নাংলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুল হক মাফলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজি দিদার পাশা, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালেহ সফিক গেন্দা ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন চান, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী জিন্নাহ, সহ-সভাপতি কিসমত পাশা ও সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ প্রমুখ।

মির্জা আজম এমপি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা আবারো দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইলে আমাদেরকে ১৫১ আসনে নির্বাচিত হতে হবে। আমার এই মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসনে নৌকা মার্কায় যাকেই মনোনয়ন দিবেন তাকেই আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা আবারো আমাকে মনোনয়ন দিবেন। যদি আমাকে দেন তাহলে আমি তো আছিই। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেন, যিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে আসবেন তাকেই সবাই মিলে বিজয়ী করবো।

তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালের নির্বাচন ছাড়া আর কোনো নির্বাচনেই এই আসনে নৌকা কখনো পরাজিত হয় নাই। সব নির্বাচনেই নৌকার বিজয় হয়েছে। কারণ এই আসনের আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন। তারা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তাই তারা আবারো নৌকায় ভোট দিবেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ঐক্যে কেউ যেন ফাটল না ধরাতে পারে। কোনো মিথ্যা অপপ্রচার করে যাতে কেউ কোনো প্রকার বিভ্রান্ত ছড়াতে না পারে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সেই দিকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সবগুলো কেন্দ্র কমিটি করতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সবাই এই কেন্দ্র কমিটির সদস্য থাকবেন। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এই তিন মাস কেন্দ্র কমিটিগুলো তাদের নিয়মিত সভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এই তিন মাস আমরা কেন্দ্র কমিটির রিহার্সাল দিবো। নির্বাচনের ভোটের দিন এই কেন্দ্র কমিটির দায়িত্বেই ভোটারদের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষকে আমরা ভোটকেন্দ্রে আনবো। নৌকা মার্কায় ভোট দিবো। ভোট গণনার পর কেন্দ্র কমিটির নেতারা রেজাল্ট শিট নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জমা দিবেন। আপনাদের দায়িত্ব ঈমানি দায়িত্ব মনে করে তা পালন করবেন।