রশিদপুর ইউনিয়নে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অ্যাডভোকেসি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রশিদপুর ইউনিয়নে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অ্যাডভোকেসি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে এমআরএসসি জামালপুরের অধীনে কেএফডব্লিও এবং ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড (সিবিএফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় “নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ” বিষয়ক ইউনিয়ন অ্যাডভোকেসি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ মে দুপুরে রশিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

রশিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ ফজলুল হক।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফুল ইসলাম। তিনি ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সেবা প্রদান, বিদেশ ফেরত ও গমনেচ্ছুদের বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, আজকের এই কর্মশালার মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ উপস্থিত সকলে নিরাপদ অভিবাসন, বিএমইটির সেবা এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানলেন। স্থানীয় জনগণ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে আসলে আমরা আগামীতে নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে তথ্য দিয়ে জনগণকে সচেতন করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন যে, বিদেশ গমনেচ্ছুরা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ না করে বিদেশ চলে যায় কিন্তু যখন প্রতারিত হয় তখন আমাদের শরণাপন্ন হয়। এজন্য মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করে ওয়ার্ড ভিত্তিক এরকম আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য তিনি ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে অনুরোধ করেন। সর্বোপরি তিনি ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এরকম উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ইউপি সচিব ফজলুল করিম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ব্র্যাকের এই উদ্যোগ আমাদের এলাকার জন্য সময়োপযোগী। তিনি ব্র্যাকের নিকট অনুরোধ করেন যেন ব্র্যাক জেলা পর্যায়ে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিশেষ করে বিদেশগামীদের জন্য ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

এরপর মুক্ত আলোচনায় বিদেশ ফেরত একজন অভিবাসী তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে দালাল তাকে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ দেওয়ার কথা বলে সৌদি আরব পাঠায়। কিন্তু তাকে মূলত ভ্রমণ ভিসা দেওয়া হয়। আকামা না পেয়ে মাত্র তিনমাস পর পুলিশের হাতে ধরা পরে কিছুদিন জেলখেটে বাংলাদেশে চলে আসে। বর্তমানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিনাদিপাত করছে। তিনি তার জীবনের উন্নতির জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

জামালপুরের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সেক্টর স্পেশালিস্ট ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশন মো. মঞ্জুরুল মোমেনীনের সঞ্চালনায় এই কর্মশালাটিতে আরও বক্তব্য দেন জামালপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক ইকরামুন নাহার, রশিদপুর ইউনিয়নের মেম্বর মো. আশিক ইকবাল।