ভয়াল সূর্যদী গণহত্যা দিবস

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে ২৪ নভেম্বর শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামে পাক হানাদারদের হামলায় ৩৯ জন শহীদ হন। স্থানীয়ভাবে এখানে স্মৃতিফলক নির্মিত হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের কবরগুলো চিহ্নিত কিংবা কোনো স্মৃতিস্তম্ভ¢ নির্মাণ করা হয়নি।

স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও এ ব্যাপারে কোনো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রইস উদ্দিন জানান, জেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরের সূর্যদী গ্রামে একাত্তরের নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাজাকার ও পাক হানাদারদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে একদল মুক্তিযোদ্ধা এখানে আসেন।

কিন্তু স্থানীয় আলবদর বাহিনীর সদস্য ইয়াদ আলী খাঁ, জিয়ারত আলী খাঁ ও আব্দুর রশীদ গংদের মাধ্যমে ওই খবর পেয়ে যায় পাকবাহিনী।

এরপর রাজাকার ও আলবদরদের নিয়ে হানাদার বাহিনী ২৪ নভেম্বর গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যা করে।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এসব শহীদদের স্মরণে সূর্যদী গ্রামে এলাকাবাসীরা একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করলেও অযত্নে অবহেলায় তা আজ ধ্বংসের মুখে।

মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগত উদ্যেগে শহীদ আফসার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হলেও সরকারিভাবে এখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি।

একই সঙ্গে এলাকার গণকবরগুলো চিহ্নিত করাসহ সূর্যদী এলাকায় সরকারিভাবে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণেরও দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্য জুলহাস আলী ও আফছার উদ্দিন।

সূত্র জানায়, শহীদ আইজউদ্দিন ফাউন্ডেশন ও প্রজন্ম একাত্তরের আয়োজনে ২৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় শহীদ আইজউদ্দিন মাদ্রাসা প্রঙ্গণে মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া বিকালে স্থানীয় আহাম্মদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।