সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ।

লিয়াকত হোসাইন লায়ন::
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ধর্মকে ব্যবহার করে এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তৎপর রয়েছে। এদের বিষয়ে খতিব, ইমাম, ওলামা-মাশেয়েখ এবং অন্য সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে অত্যন্ত সম্মান ও শ্রদ্ধা করেন। তাদের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে তাদের সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থান কাজে লাগিয়ে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী ৩০ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পবিত্র কুরআন ও রাসুল সা. এর বাণী উদ্বৃত করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের বিষয়ে কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। যাচাই-বাছাই না করে গুজবে কান দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন উস্কানিতে নির্ভর করে সহিংসতায় জড়িত হওয়া অত্যন্ত অন্যায় ও গর্হিত কাজ। এর মাধ্যমে আমাদের ধর্ম, সমাজ ও রাষ্ট্রের যে ক্ষতি সাধিত হয় তা কোনোভাবেই আর উদ্ধার করা যায়না। বাংলাদেশের সংবিধানে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় অধিকার দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা আমাদের সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলনীতি সন্নিবেশ করে গেছেন। এই মূলনীতি রক্ষা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সকল দল, মত, ধর্ম, শেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন। এতে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল শাহীন, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূইয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ফজলুর রহমান, আইনজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।