টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত মোমিনুল হকের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন মোমিনুল হক।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনে আলোচনার পর নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান মোমিনুল।

আলোচনা থেকে বেরিয়ে মোমিনুল বলেন, ‘আমি সভাপতিকে বলেছিলাম, অধিনায়ক হিসেবে কিছু সিরিজে আমি অবদান রাখতে পারবো না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এই মুহূর্তে, দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারব না। আমি বিশ্বাস করি, এখন অন্য কাউকে অধিনায়কত্ব দেয়ার সময় এসেছে। আমি আমার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি এবং এখন তারা কি সিদ্ধান্ত নিবে, এটা তাদের ব্যাপার।’

ব্যাট হাতে খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে মোমিনুলের। গত ১৫ ইনিংসে মাত্র তিনবার দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেন তিনি। এমন ফর্ম তার অধিনায়কত্বের উপর প্রভাব ফেলেছে।

সম্প্রতি অধিনায়কত্ব থেকে মোমিনুলকে সরিয়ে দেয়ার আহ্বান উঠেছিল। ফলে, বিসিবি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন।

মোমিনুল বলেন, ‘আপাতত, আমি আমার ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে চাই। একটি বোর্ড মিটিং আছে, যেখানে তারা টেস্ট অধিনায়কত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।’

জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আইসিসি দুর্নীতি কমিশনের কাছে না জানানোয় ২০১৯ সালে সাকিব দুই বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলে, তাড়াহুড়ো করে টেস্ট অধিনায়ক করা হয় মোমিনুলকে।

অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যাটিং ফর্ম খারাপ হয় মোমিনুলের। অধিনায়ক হবার আগে, ৩৬ টেস্টে ৪১ দশমিক ৪৮ গড়ে ২৬১৩ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু অধিনায়ক হবার পর, ১৭ টেস্টে গড় ৩১ দশমিক ৪৪-এ নেমে আসে। এই সময়ে মাত্র ৯১২ রান করেন তিনি। যার মধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। ৫৩ ম্যাচে ১১টি সেঞ্চুরিসহ ৩৫২৫ রান করেছেন তিনি। অধিনায়ক হবার পর মাত্র তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন মোমিনুল।

মোমিনুল জানান, অধিনায়ক যখন অফ-ফর্মে ভোগেন তখন দলের নেতৃত্ব দেয়া কঠিন। তিনি বলেন, ‘যখন আপনি ভালো খেলবেন, দল খারাপ সময় পার করলেও আপনি দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। কিন্তু আমি ভালো করছি না, একই সাথে দলও খারাপী করছে। তাই, এই পরিস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেয়া সত্যিই কঠিন।’

মোমিনুলের অধীনে ১৪টি টেস্ট খেলে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাঠে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ও আছে। নিষিদ্ধ হবার আগে, জাতীয় দলকে ১৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব। সেখানে জয় ছিল তিনটিতে।