আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ আসনে দুলালকে চায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: গরীব ও দুস্থ রোজাদারদের ইফতারি প্রদান, অসহায়দের আর্থিক অনুদান, বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় অবদান, গরীব রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অনন্য নজির তৈরি করেছেন জাপান প্রবাসী শিল্পপতি দুলাল চৌধুরী। উপজেলা বিএনপি’র তত্বাবধানে তিনি ওইসব অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। ওই শিল্পপতির বাড়ি উপজেলা শহরের গড়কান্দার এলাকায়।

স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলছেন, ২০১২ সাল থেকে দানবীর দুলাল চৌধুরী উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়ন এবং পাশর্^বর্তী নকলা উপজেলায় বসবাসকারি হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

নালিতাবাড়ী কৃষক দলের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল বলেন, নকলা-নালিতাবাড়ীতে দুলাল চৌধুরীর পদচারণা দীর্ঘদিন থেকে। তিনি এসব এলাকার দরিদ্র মানুষদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে নানা ধরণের কর্মমূখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিনি এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বিধবাপল্লীতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় সহায়তাসহ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন।

আব্দুল জলিল আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছি তিনি অবহেলিত এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির কোন কমিটিতে দুলাল চৌধুরীর নাম না থাকলেও আমরা তার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। এমন একজন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই দলে খুব প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

কৃষক দলের সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম বলেন, দুলাল চৌধুরী একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি খুব সহজেই সবার সাথে আন্তরিকভাবে মিশতে পারেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ওই শিল্পপতিকে এমপি হিসাবে দেখতে চান।

উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মাক্সিম বলেন, দুলাল চৌধুরী আমাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন। তিনি আমাদের মাধ্যমে সমাজের খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের তথ্য সংগ্রহ করেন। সে মোতাবেক কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা, দরিদ্র অসহায় রোগী, অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি সমানতলে নকলা-নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন মসজিদ-মদ্রাসা নির্মাণ ও এতিমখানায় অর্থের যোগান দিচ্ছেন।

নকলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাবেক এমপি ও হুইপ জাহেদ আলী চৌধুরীর মৃত্যুর পর স্থানীয় পর্যায়ে দলের কার্যক্রম অনেকটা স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দুলাল সাহেবের তৎপরতায় দলে আবার নতুন করে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসে। সেই সাথে মরহুম জাহেদ সাহেবের স্ত্রী ফরিদা চৌধুরীও এখন দল গোছাতে সময় দিচ্ছেন। ওই দুইজনের নেতৃত্বে আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি।

নকলা পৌর ছাত্রদলের আ্হ্বায়ক সানোয়ার হোসেন অভি বলেন, বিএনপি ক্ষমতা হারানোর পর স্থানীয় পর্যায়ে দলের ভিতর ঘাপটি মেরে থাকা একটি কুচক্রি মহল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এছাড়া অনেক নেতা-কর্মী মামলা-হামলার শিকার হয়ে ছন্নছাড়া হয়ে যায়। দলের নিবেদিত প্রাণ হিসাবে দুলাল চৌধুরী সব বাধা কাটিয়ে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করছেন।

এ প্রসঙ্গে দুলাল চৌধুরী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ আমার ভাল লাগে। তার দিক নির্দেশনা মননে ধারন করে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে গরীব দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।