সরিষাবাড়ীতে চাচা-চাচীর বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মামলা

সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দুই বোন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক প্রতিবন্ধীসহ দুই বোনকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে চাচা আব্দুল আওয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ সময় তারা বসতঘরে হামলা ভাংচুর ও স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ ঘরে থাকা মুল্যবান আসবাবপত্র লুটে নেয়। এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর রাতে ওই দুই বোনের মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আহতরা হলো- উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে ও সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার (১৭) ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছুয়া আক্তার (১২)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কান্দারপাড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের দুই ছেলে গোলাম রব্বানী ও আব্দুল আওয়ালের মধ্যে বসতবাড়ির জমি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ৩ ডিসেম্বর সকালে দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে অসুস্থ্য মাকে দেখতে বাবার বাড়িতে যান গোলাম রব্বানী স্ত্রী জেসমিন বেগম। এ সুযোগে দেবর আওয়াল ও তার স্ত্রী বিথী বেগম বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় কিশোরী সাদিয়া প্রতিবাদ করিলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকে। ভাংচুরে বাধা দিলে সাদিয়া ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছুয়াকে এলোপাথাড়ি মারধর ও মাথার চুল ধরে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা ও দামি আসবাবপত্র নিয়ে নেয়। পরে তারা কয়েকটি ফলজ বৃক্ষ কেটে দেয়। এদিকে দুই বোনের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গোলাম রব্বানীর স্ত্রী জেসমিন বেগম বাদী হয়ে দেবর আওয়াল ও তার স্ত্রী বিথী বেগমের বিরুদ্ধে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও দুইজনকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।