শেরপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ, আহত ২০

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের নকলার চন্দ্রকোনা ইউপি নির্বাচনে প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজ অধ্যক্ষসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। অন্যদিকে আহতদের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৩ নভেম্বর বিকালে চন্দ্রকোনা বাজারে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চন্দ্রকোনা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান গেন্দুর প্রচারণা চালাতে কয়েকজন কর্মী পার্শ্ববর্তী দড়িপাড়া এলাকায় যান। এসময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজু সাঈদ ছিদ্দিকীর সমর্থকরা তাদের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাজু সাঈদ সিদ্দিকীর সমর্থকেরা কামরুজ্জামান গেন্দুর কর্মীদের কাছে অস্ত্র আছে দাবি করে তাদের আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তিনজনকে আটক করে স্থানীয় তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে চন্দ্রকোনা বাজারে উভয়পক্ষ নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন- চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. রফিকুল ইসলাম উল্লাস, হাসান, নাছিমা, সালমা, শেফালী, মিনা পারভীন, মেহের আলী, বিশাল ও জাকির।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাজু সাঈদ সিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে। এ সময় তারা বেশ কয়েকজনকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। সেই সাথে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে গুলি করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান গেন্দু বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরাই আমার লোকজনকে আটকে রাখে। সেই সাথে রামদা দেখিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া।