ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

জামালপুরে কোভিড মহামারী মোকাবেলায় এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা

জামালপুরে কোভিড মোকাবেলায় এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে কোভিড মোকাবেলায় এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম: বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় জামালপুরে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।

ব্র্যাক আয়োজিত এবং জেলা প্রশাসন ও ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি) এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মুকলেছুর রহমান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএনবি জেলা কমিটির সভাপতি ও উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দিলরুবা আহম্মেদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক সাজদা ই জান্নাত তনু, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারী ইভা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াছ মল্লিক, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কামরুন্নাহার, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, আজকের জামালপুর পত্রিকার সম্পাদক এমএ জলিল, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু, ব্র্যাক সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রিপন কুমার, টিআইবির অঞ্চল ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন প্রমুখ। কর্মশালায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী মনির হোসেন খান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

কর্মশালা সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন জামালপুরে কর্মরত এনজিওদের মাধ্যমে ৮ কোটি ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ৩৮ হাজার ৯১৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার উপকার পায়। এছাড়া এনজিওরা এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯১টি মাস্ক, ২০ হাজার ১৬৬টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১২ হাজার ২৩২টি গ্লাভস, ১ হাজার ২৫৮টি গগলস, হ্যান্ড ওয়াসিং ৭৫৫টি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪২০টি লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করা হয়েছে ১৯০ দিন, পোস্টার ও স্টিকার বিতরণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ৭২০টি, ব্যানার করা হয়েছে ৬৯৮টি।

কর্মশালা থেকে জানা যায় এনজিওদের দ্বারা পরিচালিত ৩১৫টি বিদ্যালয়ের ১৯ হাজার ৯০ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান কোভিড মোকাবেলা এনজিওদের ভূমিকার ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে এনজিওরা সরকারের কাজে সর্বাত্মক সহায়তা করে থাকে। বাল্যবিয়ে ও নারী, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কিছু কিছু প্রতারক এনজিওদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

কোভিডকালিন যেসকল এনজিও সহায়তা করেছে তাদের মধ্যে ব্র্যাক, উন্নয়ন সংঘ, ইসলামিক রিলিফ, সাজেদা ফাউন্ডেশন, আশা, এসএসএস, ব্যুরো বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইএসডিও, স্বাবলম্বী, ডিএসকে, বন্ধু সোসাল ওয়েলফেয়ার, পারিসহ বিভিন্ন সংস্থা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক দলের নেতারা

জামালপুরে কোভিড মহামারী মোকাবেলায় এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা

আপডেট সময় ০৬:৫৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১
জামালপুরে কোভিড মোকাবেলায় এনজিওদের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর, বাংলারচিঠিডটকম: বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় জামালপুরে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।

ব্র্যাক আয়োজিত এবং জেলা প্রশাসন ও ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি) এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মুকলেছুর রহমান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএনবি জেলা কমিটির সভাপতি ও উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দিলরুবা আহম্মেদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক সাজদা ই জান্নাত তনু, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরা মুস্তারী ইভা, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াছ মল্লিক, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কামরুন্নাহার, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, আজকের জামালপুর পত্রিকার সম্পাদক এমএ জলিল, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু, ব্র্যাক সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক রিপন কুমার, টিআইবির অঞ্চল ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন প্রমুখ। কর্মশালায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী মনির হোসেন খান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

কর্মশালা সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন জামালপুরে কর্মরত এনজিওদের মাধ্যমে ৮ কোটি ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকার খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ৩৮ হাজার ৯১৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার উপকার পায়। এছাড়া এনজিওরা এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯১টি মাস্ক, ২০ হাজার ১৬৬টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১২ হাজার ২৩২টি গ্লাভস, ১ হাজার ২৫৮টি গগলস, হ্যান্ড ওয়াসিং ৭৫৫টি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪২০টি লিফলেট বিতরণ, মাইকিং করা হয়েছে ১৯০ দিন, পোস্টার ও স্টিকার বিতরণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ৭২০টি, ব্যানার করা হয়েছে ৬৯৮টি।

কর্মশালা থেকে জানা যায় এনজিওদের দ্বারা পরিচালিত ৩১৫টি বিদ্যালয়ের ১৯ হাজার ৯০ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান কোভিড মোকাবেলা এনজিওদের ভূমিকার ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে এনজিওরা সরকারের কাজে সর্বাত্মক সহায়তা করে থাকে। বাল্যবিয়ে ও নারী, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কিছু কিছু প্রতারক এনজিওদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

কোভিডকালিন যেসকল এনজিও সহায়তা করেছে তাদের মধ্যে ব্র্যাক, উন্নয়ন সংঘ, ইসলামিক রিলিফ, সাজেদা ফাউন্ডেশন, আশা, এসএসএস, ব্যুরো বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইএসডিও, স্বাবলম্বী, ডিএসকে, বন্ধু সোসাল ওয়েলফেয়ার, পারিসহ বিভিন্ন সংস্থা।